দুঃখ বিলাসিতা নিয়ন্ত্রক-১
প্রাচুর্যের ঘুনপোকা নই আমি, বিলাসিতা
তাই কৃত্রিমে গড়া দৃষ্টি-দ্রবীভূত অনুভূতির
প্রাচীরে চুন সুরকির মতো .
নবজাতকে মসৃণ তারা , ঔজ্জল্লে
চোখ ঝলসে যায় , তবুও পিছন ফিরে তাকায়
জঘন্য দুচোখ তোমার .
প্রাচীন হয়ে ঝরে পড়ছি যখন
তোমার মাটিতে,
ঘুনপোকা নই যেহেতু,
কল্পনা আর দুঃখ বিলাসী হই তখন আমি .
দুঃখ বিলাসিতা নিয়ন্ত্রক- ২
বর্ষার প্রথম দিনে,
খবরের কাগজে বিনোদন পাতায়, কিংবা কোনো
স্থির চিত্র গ্যালারিতে, বিবর্ণ, বিপর্যস্ত ,
কদম ফুল হাতে মলিন কোনো কিশোরীর কৃত্রিম
হাসি, বিত্তের দাম্ভিকতায় লাথি মারে যারা,
যাদের তুমি ব্যবহার করতে চাও পবিত্র সৌন্দর্য
প্রদর্শনে, অবসরে দুঃখ বিলাসী হই আমি তাকে দেখে .
কিংবা , রিক্সায় যেতে যেতে পাশ থেকে
হঠাৎ বাশির সুর, চারপাশের প্রাচুর্যের ইমারতে
প্রচন্ডভাবে কড়া নাড়তে থাকে যারা...হয়তো যে সুর শুনে
আবেগী হও তুমি. অবসরে
দুঃখ বিলাসী হই আমি তাদের নিয়ে, .
আর ধিক্কার জানাই তোমাদেরকে, আর
তোমাদের ক্ষণস্থায়ী আবেগকে,
আবেগী হতে আশ্রয় নাও যারা
বিবর্ণ কিশোরীর মলিন হাসিতে,
কিংবা বাশী ওয়ালার সুরে.........
দরাজ কন্ঠের বৃদ্ধ কোনো রিক্সাচালকের গানে......
আর সবশেষে মাথা নিচু করে
ধিক্কার জানাই নিজেকে .
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।