সত্য অপ্রিয় হলেও বলতে চাই
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো চালু হয়েছ অনেক দিন। এর মাঝে ঘটে গেছে কত জাতীয় ক্রান্তিকাল। ছাত্রদের উপর দিয়েও গেছে কত দমন-নিপিড়ন। গত সামরীক-তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তো চরম হিউমিলিয়েটেড হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তাদের প্রতি সহমর্মিতার ও সহমতের জন্য সারা দেশের স্কুলগুলো পর্যন্ত ফেটে পড়েছে ক্ষোভে বিক্ষোভে।
কিন্তু ঐ সময়ও রাস্তায় বের হয়নি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। আমার অনেক বন্ধুই আছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে, কেউ কেউ পড়ায়। তাদের ধিক্কার দিয়েছি, তারা শুধু মিটি মিটি হাসে, যেন এইসব রাস্তাঘাটে আন্দোলন নীচ শ্রেনীর রাজনৈতিক প্ররোচনায় হয়, তাদের এত উচ্চ একাডেমিক এথিকস্ এর সাথে ঠিক যায না। সামনে না বললেও গালি দিয়েছি মনে মনে শালা সব রসুনের গোড়া একখানে। এটা যে বুর্যোয়াদের কিন্ডার্গাডেন তথা চিকেনফার্ম - তা যেন কিছুতেই ঢেকে রাখা যায় না।
কিন্তু কি লজ্জা, জাতীর, ছাত্রদের এত দুর্দিনেও যারা মিটি মিটি হেসেছে, ক্লাস এসাইনমেন্ট এগুলো ছাড়া কিছুই বোঝেনি। সামরীক বাহিনী কতৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের অপমান - রিম্যান্ডের অত্যাচারও যাদেরকে টলাতে পারেনি, তারা আজ ৪-২//১ পার্সেন্ট ভ্যাট, যা কিনা ১০০ টকায় মাত্র ৪.৫০ টাকা তা রাষ্ট্রকে দিতেই তারা আজ রাস্তায় নেমে দিনের পর দিন গাড়ী ভাংচুর, ঢিলাঢিলিতে রত।
এ যেন সেই বুর্জোয়া শাইলকদেরই মনে করিয়ে দেয়, যে নিজের টাকা আর অর্থ-স্বার্থ ছাড়া আর কিছুতেই তাদের কোন পরোয়া নেই।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষও কেন আন্দলনে এত ইন্ধণ যোগাচ্ছে - কারণ ভ্যাটের আওতায় আসলে তাদের হিসাব নিকাশ আরও খোলাসা করতে তারা বাধ্য থাকবে সরকারের কাছে - তারা সেটা নিশ্চই চান না।
আর আন্দলনরত বোকা ছাত্রদের বলি, ভ্যাট আরোপ হলে, হিসাব সরকারের কাছে নিয়মিত দাখীল করতে হলে কতৃপক্ষের চুরিদারি ও অতি-মুনাফা কমবে, ফলে ৪-১/২ পার্সেন্ট দিয়ে দিলেও পরিশেষে ছাত্রদের লাভের সম্ভাবনা বেশী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।