Every emotion have a feelings. But every feelings have no emotion.
ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে বিদায় জানালো আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) ৷ বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের ইচ্ছাটা তাই শেষ পর্যন্ত পূরণ হলো না এই তারকা ফুটবলারের৷ আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড়মাপের খেলোয়াড় হলেও কোচ হিসেবে খুব একটা সাফল্য মেলেনি ম্যারাডোনার কপালে ৷ ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা ৷ এর নায়ক হিসেবেই সবচেয়ে জনপ্রিয়তা জোটে ম্যারাডোনার ৷ পরের আসরে দলকে নিয়ে যান রানার্স-আপ পর্যন্ত৷ কিন্তু এরপর আর খুব একটা কৃতিত্ব জোটেনি এই তারকার ভাগ্যে৷ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০০৮ সালের নভেম্বরে৷ কোচ হিসেবে গত ১৮ মাসে যা দিয়েছেন তা হলো কোন রকমে দক্ষিণ আফ্রিকার আসরে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন৷ বিশ্বকাপের শুরুটা তবুও ভালোই ছিল ম্যারাডোনার ছেলেদের ৷ জয় পেয়েছিল গ্রুপ পর্যায়ের তিনটি ম্যাচেই ৷ কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হারে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ৷ শেষ পর্যন্ত লাখো ভক্তকে হতাশ করে বেশ আগেভাগেই বিদায় নিতে হয় এবারের আসর থেকে৷ আর তখন থেকেই শুরু হয় ম্যারাডোনার ভাগ্য নিয়ে নানা গুঞ্জন৷ ম্যারাডোনা কিছুটা আশার কথাই শুনিয়েছিলেন এই সপ্তাহের শুরুতেই ৷ কিন্তু সোমবার এএফএ'র সভাপতি জুলিও গ্রোন্ডোনার সাথে শ্বাসরুদ্ধকর বৈঠকের পর থেকেই সন্দেহ দেখা দেয় আরো বেশি ৷ অবশেষে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাজানো হলো ৪৯ বছর বয়সি ম্যারাডোনার বিদায় ঘণ্টা ৷ ম্যারাডোনার বিদায়ের সাথে সাথেই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সামনে এসেছে বেশ কিছু সম্ভাব্য কোচের ছবি ৷ তাঁদের মধ্যে সম্ভাবনার শীর্ষে রয়েছেন আলেজান্দ্রো সাবেলা ৷ ৫৫ বছর বয়সি সাবেলা গত বছরের কোপা লিবার্টাডোর্সে নেতৃত্ব দিয়েছেন এস্টুডিয়ান্টদের ৷ ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের তালিকায় আরো রয়েছেন মিজেল আঞ্জেল রুশো এবং সার্জিও বাতিস্তা ৷ বর্তমানে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব ২০ দলের দায়িত্বে রয়েছেন বাতিস্তা ৷ এছাড়া ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক্সে নিজেদের গৌরবময় সাফল্যে বেশ বড় ভূমিকা ছিল বাতিস্তার ৷ মূল লেখা প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা দিয়েগো মারাদোনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট