আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইস্কাটনে গৃহপরিচারিকার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

তক

রাজধানীর রমনা থানাধীন ইস্কাটনের দিলু রোডে গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহপরিচারিকার নাম লিজা আক্তার (১৪)। সোমবার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। তার মুখ, গলা, হাত ও পাসহ সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালে আহত লিজা জানায়, সে [রসম।

যঃঃঢ়://িি.িলধরলধরফরহ.পড়স/রসধমবং/ঁঢ়ষড়ধফবফথরসধমবং/৮৩০৪৩থটহঃরঃষবফ-১ধধ.লঢ়ম] ইস্কাটনের দিলু রোডের সিলভার টাওয়ারের সপ্তম তলায় গাড়ি ব্যবসায়ী লিটনের বাসায় কাজ করত। কাজ করতে গিয়ে সামান্য কোনো ভুল হলেই গৃহকর্ত্রী সাবিনা বেগম তাকে মারধর করত। নির্যাতন সইতে না পেরে সে গত রোববার তার বাবাকে খবর দেয়। পরে রোববার রাতে তার বাবা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। লিজার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, তিনি সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন।

বাড্ডার হোসেন মার্কেটের পাশে ৩২১ নাম্বার ময়নারবাগে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাস করেন। অভাব-অনটনের কারণে ৫ মাস আগে তিনি মেয়ে লিজাকে মাসপ্রতি ৫০০ টাকার বিনিময়ে লিটনের বাসায় কাজ করতে দেন। কিন্তু শুরু থেকেই তিনি জানতে পারেন, ওই বাসার গৃহকর্ত্রী (লিটনের স্ত্রী) সাবিনা বেগম লিজাকে প্রায়ই কারণে-অকারণে মারধর করে। এ সময় তিনি অনেকবার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও লিটন এবং তার স্ত্রী লিজা তাকে দেখা করতে দেয়নি। পরে উপায়ান্তর না দেখে রোববার রাতে মেয়েকে নিতে লিটনের বাসায় যান।

এরপর রমনা থানায় গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে লিজাকে নিয়ে আসেন। বাসায় নেয়ার পর গতকাল দুপুরে লিজা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে লিজাকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে গৃহকর্ত্রী সাবিনা বেগম। সে জানায়, মেয়েটিকে কখনো নির্যাতন করা হয়নি। চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় সে নিজে নিজেই এসব আঘাত পেয়েছে।

সাবিনা বেগমের অভিযোগ, লিজার মা-বাবা মেয়েকে বিভিন্ন বাসায় কাজে পাঠিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে টাকা আদায় করেন। এমন ঘটনা তারা আগেও ঘটিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে লিজার বাবা তাকে নিতে এলে থানায় গিয়ে পুলিশের সামনে লিজাকে বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় লিজা নিজেও তার বাবা-মার কাছে যেতে চাইছিল না।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।