রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছাত্রদল নেতা আতাউর রহমান নুহ ইসলামকে (২৮) জবাই করার ঘটনায় এখনো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হলেও পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং এ মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় সাংসদের ভাই হওয়ায় নিরাপত্তার জন্য সাংসদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাদি পক্ষের অভিযোগ পুলিশ শেষ পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করলেও সাংসদের ভাই আসামি
হওয়ায় এখন তাকে গ্রেফতারের পরিবর্তে বাড়িতে পাহারা দিচ্ছে। তবে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এলাকা ছেড়ে অনেকে পালিয়ে গেছে।
মামলা রেকর্ডের পর থেকেই পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সবাই পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন প্রসঙ্গে ওসি জানান, সাংসদের ভাইকে আসামি করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই ঘটনাস্থলে ফের সহিংস ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাংসদের বাড়ি আর ঘটনাস্থল প্রায় একই স্থানে হওয়ায় পুলিশ হয়তো বাড়ির সামনে গিয়ে বসেছে।
তবে এ ঘটনায় বাদি পক্ষের লোকজন সাংসদের বাড়িতেও হামলা চালাতে পারে এমন আশংকায় পুলিশ ওই বাড়ির নিরাপত্তার জন্য নজর রাখছে।
তবে পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়, ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ডের পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাংসদের বাড়িতে আক্রমণ করতে পারে এমন আশংকায় সেখানে এখন পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়িতে আসামি নেই বলে পুলিশ জানায়।
আজ শনিবার পুঠিয়ার বিড়ালদহে গিয়ে দেখা গেছে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বেশ কজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেছে সাংসদ দারার বাড়ির সামনে বেঞ্চ পেতে সেখানে অস্ত্রসহ পাহারা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কনস্টেবল জানান, উপরের নির্দেশে এখানে পুলিশ রয়েছে।
এদিকে মামলা রুজুর পর থেকে বাদি পক্ষকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার বাদি সাহেরা বেগম জানান, এমপির ভাইকে আসামি করায় বিভিন্ন চাপের মধ্যে রয়েছেন তারা। পুলিশও পরোক্ষভাবে তাদের শাসাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের কাছে ছাত্রদল নেতা আতাউর রহমান নুহ ইসলামকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে কোপানোর পর জবাই করে।
একই স্থানে দেড় বছর আগে তার পিতাকেও হত্যা করা হয়েছিলো।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে স্থানীয় সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার ছোট ভাই আবু হানিফ সুজাকে প্রধান আসামি করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত আতাউর রহমানের মা সাহেরা বেগম বাদি হয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পুঠিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পুঠিয়ায় ছাত্রদল নেতা খুন: প্রধান আসামির বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।