হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই
ইউরোপীয়দের কাছে ভারতবর্ষ ছিল এক রহস্যঘেরা মায়াপুরী। যেখানে বাস করে অদ্ভূত আকৃতির কিছু প্রানী, যেখানে সব সময় ঘটে চলে অলৌকিক ঘটনা। মানুষ সেখানে চলে জাদুবিদ্যায়।
প্রাচীন গ্রীসের ভারত বর্ষ সন্মন্ধ্যে কোন ধারনাই ছিল না। কারন দুই দেশের মধ্যে প্রসারিত ছিল বিশাল পারস্য। নানা নাবিকদের মুখ থেকে ভাষা ভাষা কিছু শুনতেন।
হেরোডেটাস লিখেছেন প্রাচ্যের বিপুল ঐশ্বর্য্যর কথা। অগাধ সম্পদ আর প্রচুর ধন সম্পদের কথা, আর ভারতবর্ষ ভীষন ঘন বসতিপূর্ন।
হেরোডেটাস আরো লিখে গেছেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বালুকাময় বিশাল মরুভূমি, সেখানে রয়েছে বিশাল আকৃতির পিপড়া। এই পিপড়াগূলো আকারে শেয়ালের থেকে বড়। এই পিপড়াগুলো বালু খুড়ে উপরে ছুড়ে মারে আর সে সব বালুর মধ্যে আছে স্বর্ন খন্ড। ভারতীয়রা এই স্বর্ন খন্ড গুলোর জন্য ওই বিরাট পিপড়া গুলোর পিছনে ঘুরে বেড়ায় আর ওই সব স্বর্ন খন্ড নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় কারন এই মরুভূমির পিপড়া গুলো যদি কোন মতে মানুষের গন্ধ পায় তা হলে তাদের হত্যা করার জন্যা ধাওয়া করে।
ভারতে নাকি একটি যাদুর ঝরনা আছে সেখানে নাকি কেউ গোসল করলে আর মিথ্যা কথা বলতে পারেনা।
রাজা বাদশাহরা নাকি এখানে দোষীদের দোষ স্বীকার করায়। এখানে নাকি যে খেজুর পাওয়া যায় তা ব্যাবিলনের খেজুর থেকে তিন গুন বড়। ছাগল আর ভেড়াগুলো ঘোড়ার থেকে বড়।
খ্রীষ্ট পূর্ব ৫ম শতকে তোসিয়াস নামক এই গ্রীক চিকিৎসক পারস্য রাজের অধীনে চাকুরী করত, বিভিন্ন জনশ্রুতি দিয়ে তিনি চমৎকার একটি বই রচনা করেন, এতে আছে গলিত সোনার ঝরনা, মানুষ মুখো বাঘের কথা। ভারতে নাকি পিগমীরা বস বাস করে।
এরা পাখির সাহায্যে শিকার করে। আর সোনা রুপো পাহাড়া দেয় পাখি মুখো চার পেয়ে গ্রিফিন।
বিখ্যাত রেশম পথের একটি হল লাউয়ান। এখানে প্রাপ্ত রেশম বস্ত্রে দেখা যায় আকা আছে ভয়ংকর গ্রিফিন পাখি খিলানের ওপর বসে আছে। আছে ডানা যুক্ত চিতা বাঘের কথা।
ডানা যুক্ত চিতা বাঘ নাকি তখন বাস করত ভারত বর্ষে এ বিশ্বাস ও ছিল গ্রীকদের।
প্রাচীন কালে গ্রীকদের এসব ভ্রান্ত ধারনা অনেক খানি সংশোধন হয় যখন ৩২৬ খ্রীষ্টপূঃ আলেকজান্ডার উত্তর পশ্চিম সিন্ধু প্রদেশে হাজির হন। এই অভিযানেই প্রথম সুস্পষ্ট জানা গেল ভারতবর্ষের জীবন যাত্রা, রীতিনিতি, পশু পাখি।
গ্রিক পর্যটক মেগাস্থিনিস ভারত এসেছিলেন। পাটালিপুত্রের চন্দ্রগুপ্তের মৌর্য দরবারের চমৎকার বিবরন দিয়েছেন তিনি ৩০২ খ্রীষ্টপূঃ।
এসাটকাইটাস নামে অদ্ভুত এক জাতির বর্ননা তিনি দিয়েছেন। আর এক জাতির মানুষের নাকি কপালে এক চোখ ছিল।
পনের শতকে রাশিয়ার ইউরোপিয় অংশে বসবাসকারীদের ধারনা ছিল উরালের এই পাশে নাকি এমন জাতি আছে যারা শীত কালে ঘুমিয়ে কাটায় ভাল্লুকদের মত।
ভাগ্যিস এখন আর এরা নেই।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।