বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসানসহ (৫৩) দুজনকে আজ শনিবার সকালে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খুলনার রূপসা উপজেলার আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাগেরহাট-খুলনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জাহিদ মোটরসাইকেলে করে খুলনা থেকে ফকিরহাট যাচ্ছিলেন।
নিহত ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান ছিলেন ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি ফকিরহাট উপজেলা সদরের সাতশৈয়া গ্রামের খান ইলিয়াস হাসানের ছেলে।
চলতি মেয়াদসহ তিনি মোট তিনবার ওই ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
নিহত অন্যজন জাহিদকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক। তাঁর নাম জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাসের ভাষ্য, জাহিদ প্রতিদিনের মতো আজ সকালে খুলনার বাড়ি থেকে ফকিরহাটে নিজ এলাকায় যাচ্ছিলেন।
তাঁকে বহনকারী ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তাঁর পূর্বপরিচিত। প্রায়ই তিনি ওই মোটরসাইকেলে করে খুলনা থেকে ফকিরহাট যেতেন। আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁরা খুলনার রূপসার আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলটি পড়েছে খুলনা জেলায়। আমরা হত্যাকারীদের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাইনি।
কোনো প্রত্যক্ষদর্শীও পাওয়া যায়নি। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। লাশ ঘটনাস্থল থেকে ফকিরহাটে আনা হবে এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনায় নেওয়া হবে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।