যেখানে দেখিবে বিদ্যুৎ, থাকিও উহা হইতে শতহস্ত দূর। কাছে আসিলে খাইলেও খাইতে পার অমূল্য বৈদ্যুতিক আঘাত! কাজেই সাবধান!
আইজকা রাইতে শ্যাষ হৈলো বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০। আবার আইবো ২০১৪তে, ব্রাজিলে।
যাউকগা.... কতা সেইডা না।
কতা হৈলো..... এইবারের বিশ্বকাপে রেফারিং নিয়া বহুত চিল্লানি হৈসে।
ইংল্যান্ডের গোল না দেওয়া, অভিনয়ে মুগ্ধ হওয়া, অফসাইডের গোল দেওয়া, ভুলভাল কার্ড দেখানো ইত্যাদি ইত্যাদি............
আম্রা অনেকেই রেফারিদের আচরণে হতাশ হৈসিলাম অনেক... বিশেষ কৈরা ১ম রাউন্ডে। কয়েকজন রেফারি কার্ডগুলারে ট্যাকাপয়সা মনে কৈরা বাইর করতো। হেগোরে আম্রা সহ্য করতে পারতাম না। কিন্তু ২য় রাউন্ডের কয়েকটা খেলায় সাধুমার্কা কিছু রেফারি দেখে সে ধরনের কতা কয়েকজনের মন থেইক্কা দূর হৈয়া গেসে। যেরাম......
আর্জেন্টিনা-মেক্সিকোর ম্যাচে বহুত মারামারি হৈসে।
কিন্তু রেফারি রবার্তো রসেত্তি আছিলো বহুত কিপটা। সুযোগ পাইয়া গ্যাব্রিয়েল হাইঞ্জরে বল মাঠের বাইরে থাকা অবস্থায় মেক্সিকান এক পিলিয়ার ধাক্কা দিয়া মাঠের সাড়ে ৬ হাত বাইরে নিয়া গিয়া ফালাইছিলো। কিন্তু রেফারি হাসিমুখে এমনভাবে সব সামলাইসে, মনে হৈসে ষ্টেডিয়ামটা আছিলো ব্যাটার বাড়ি। আর পিলিয়াররা আছিলো মেহমান। মেহমানে মেহমানে মারামারি হাসিমুখে থামাইতে ব্যাটা কুটনীতিকের ভূমিকা পালন করসে।
সেই সময় মনে হৈসিলো, এর চাইতে বেশি কার্ড দেখানো রেফারিও অনেক ভালো।
আইজকার ম্যাচটাও আছিলো সেরকমই। কিন্তু রেফারি কঠিন হাতে সব সামলাইসে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সার্জিও বুস্কেটসের পায়ের ২ হাত সামনে বল থাকা অবস্থায় রবিন ভ্যান পার্সি বুস্কেটসের হাঁটুতে কিক বসাইছিলো। ফুটবলের নিয়মে যেইটা সোজা লালকার্ড।
কিন্তু রেফারি বোধহয় প্রথম মিনিট জন্যেই খাতির করসে। এরপর আরও অনেককিছু ঘটসে। কিন্তু সব না বলে আর একটার কথা বলি। জাবি আলোনসোর বুকে নাইজেল ডি ইয়ং একটা কিক বসাইছিলো, যেটা খেয়ে জাবি আলোনসো তব্দা খাইয়া গেসিলো। কিন্তু রেফারি তখন ডি ইয়ংরে হলুদ কার্ড দেখাইসে মাত্র! অথচ এই ফাউলটা ডাবল লাল কার্ডের যোগ্য।
নেদারল্যান্ডস আইজকা শুরু থেইক্কাই যেরাম রাফ অ্যান্ড টাফ খেলতেসিলো, সেইটা কোনমতেই কোন বিশ্বকাপেরই ফাইনাল ম্যাচে প্রত্যাশিত না।
জাভি হার্নান্দেজরে আম্রা সবাই চিনি। স্পেনের মিডফিল্ড জেনারেল। যে কিনা সবসময় শান্তশিষ্ট থাকে। সেই লুক পর্যন্ত খেপসে!! একবার মনে হৈসিলো, ২০০৬ এর জিদানের মত না কিছু আবার হয়! জাভি তো খেপার ব্যক্তি না! কিন্তু নাহ... হয় নাই।
যে ইনিয়েস্তা সবসময় খেলায় মনোযোগী থাকে, সেও খেপসিলো।
একই সময়ে পেনাল্টি বক্সের বাইরে দুইজনরে আর ভিতরে একজনরে হেইটিংগা ফেলে দেওয়ার পরেও রেফারি কিসসু করে নাই।
রেফারি আইজকা কয়ডা কার্ড দেখাইসে, সেইডা সবাই জানেন। টোটাল দেখাইসে ১৪টা। হলুদ কার্ড ৭ টা নেদারল্যান্ডস আর ৫ টা স্পেন।
সেইসাথে নেদারল্যান্ডসের হেইটিংগা দুই হলুদে একটা লাল কার্ড খাইসে। যার কি না আরও আগেই লাল কার্ড দেখার কতা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আইজকা চাইসিলাম একটা উরাধুরা রেফারিরে। ঠিকি আছে। আইজকার এই রেফারি না থাকলে মাঠটা কুরুক্ষেত্র হয়ে যাইতো।
আসেন..... ষ্ট্যাটিসটিক্সটা দেখি সপাই.....
যাউকগা..... স্পেন যে জিতসে, এইটাতেই আমি খুশি। তয় ডাচদের কাছে এমন বাজে বাজে সব ট্যাকল আমি কক্ষণো আশা করি নাই। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আমার প্রথম পছন্দ ছিলো আর্জেন্টিনা(সবার যেরাম থাকে ), দ্বিতীয় পছন্দ ছিলো স্পেন আর তৃতীয় পছন্দ ছিলো নেদারল্যান্ডস। কিন্তু আজকের নেদারল্যান্ডসের খেলা দেখে মনে হৈসিলো, ডাচ নাবিকদের ভূতটা চাপসে ওদের মাথায়।
যা হওয়ার হৈসে।
চ্রম একটা ফাইনাল হৈসে। অফসাইডের কুন ভুল সিদ্ধান্ত যে আইজকা দেওয়া হয় নাই, এইটা অনেক আনন্দের খবর। নাইলে ভেজাল আছিলো।
আইজকার রেফারিং নিয়া আমি সন্তুষ্ট। কারণ, যারা যা দুষ কর্সে তার সাজা পাইসে।
হলুদ কার্ড দেখায় ৭-৫ ব্যবধানই তার প্রমাণ। এক তরফা রেফারিং হয় নাই।
স্পেনরে অভিনন্দন। প্রথমবার ফাইনালে উঠে প্রথমবারেই বিশ্বকাপ জিতে নেওয়ার জন্য।
ইয়োহান ক্রুইফ ঠিকি বলসিলেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাপারে।
উনিই তো উনার নিজের দ্যাশের দলরে ভালো কৈরা চিনেন।
ওহ! আরেকটা কথা....
"পল দ্য অক্টোপাস" এর জয় হোক!!
সিঙ্গাপুরে একটা টিয়া হাজির হৈসিলো না? কৈসিলো যে উরুগুয়ে ৩য় স্থান নির্ধারণী জিতবে আর নেদারল্যান্ডস জিতবে বিশ্বকাপ? আইজকা ওইটার প্রাণ হারাইতে হৈতে পারে।
সাথে আরেকটা সুখবর!
উরুগুয়ের ডিয়েগো ফোরলান এবারের গোল্ডেন বল জিতসে। যেটা আম্রা সবাই চাইসিলাম। আসল এবং যোগ্য ষ্টার এবং হিরোর কাছেই গেসে গোল্ডেন বলটা।
আর গোল্ডেন বুট জিতসে জার্মানীর থমাস মুলার।
সবাই ভালো থাকেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।