এক সময় রিয়াল মাদ্রিদের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিন বছর আগে জোসে মরিনিয়ো কোচ হওয়ার পর প্রিয় ক্লাব ছাড়তে বাধ্য হলেও আজো রাউল গঞ্জালেসকে ভোলেনি রিয়াল-সমর্থকরা। তাকে সেই চিরচেনা ৭ নম্বর জার্সিতে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবেউ। তিনি অবশ্য দুই অর্ধে দুই দলের হয়ে খেলেছেন।
১৯৯৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়ালের হয়ে খেলেছিলেন রাউল।
রেকর্ড ৯ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে অনেকগুলো অর্জন তার অধিকারে। লা লিগায় ৫৫০ ম্যাচে ২২৮ গোল এবং সব মিলিয়ে ৭৪১ ম্যাচে ৩২৩ গোল – রিয়ালে এই চারটি রেকর্ডই রাউলের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেকর্ড ৭১ গোলও রিয়ালের জার্সি গায়ে করেছেন তিনি।
দলের সবচেয়ে সফল ফুটবলারকে বরণ করে নিতে তাই বৃহস্পতিবার বার্নাবেউয়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
প্রথমার্ধে রিয়ালের জার্সিতে মাঠে নামেন ৩৬ বছর বয়সী রাউল।
সেই সঙ্গে আরো একবার দর্শনীয় ফুটবলে ভক্তদের মন ভরিয়ে তোলেন। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার পাস থেকে নিঁচু শটে লক্ষ্যভেদ করে রিয়ালকে এগিয়েও দেন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
রিয়ালে ৭ নম্বর জার্সি পড়ে খেলতেন রাউল। যা এখন পড়েন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
ম্যাচের শুরুতে পূর্বসুরীকে সম্মান জানিয়ে রোনালদো নিজের জার্সি তুলে দেন রাউলের হাতে। আর অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস পড়িয়ে দেন অধিনায়কের ব্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে জার্সি বদলে আল সাদের হয়ে খেলেন রাউল। তবে রিয়ালের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে টিকতে পারেনি তার দল।
নবাগত মিডফিল্ডার ইসকো ব্যবধান দ্বিগুণ করার কিছুক্ষণ পর ৩-০ করেন স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
শেষ দিকে জোড়া গোল করে স্বাগতিকদের বড় জয় নিশ্চিত করেন ২০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড জেসে রদ্রিগেজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।