সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত অলিতে-গলিতে ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এর অধিকাংশটিতেই নেই কোন ডাক্তার কিংবা নার্স। আবার অনেকগুলিতে বাইরে থেকে আসা ডাক্তার ও নার্সরা যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন, তার বোঝা বইতে হয় অসহায় রোগীদের। ডাক্তাররা আজ সরকারী হাসপাতালে সেবা দেবার সময় পান না, তাদের অধিকাংশেরই অধিকাংশ সময় কাটে এ ধরণের রোগীর গলা-কাটা ক্লিনিকগুলোতে। আবার কিছু কিছু ডাক্তার তার নিজস্ব চেম্বারে এমন আয়াদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন যে ঐ সকল আয়া কোন গর্ভবতী রোগিনী দেখলে পরে অতি উৎসাহে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে সিজারের দিকে ঠেলে দেয়।
এই সকল আয়ার মাধ্যমে ডাক্তারের পকেট ভারি হতে সময় লাগে না। অনেক রোগীকে ডাক্তার সরকারী হাসপাতাল থেকে সুকৌশলে সরিয়ে ক্লিনিকে টেনে আনে শুধুমাত্র টাকা হাতিয়ে নেবার মানসিকতায়। তাছাড়া দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন ক্লিনিকের রিপোর্ট ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় একই রোগীর ক্ষেত্রে। এতেই বোঝা যায় আমরা সত্যিকার অর্থেই ডাক্তার হতে পেরেছি কি না। বর্তমানে ক্লিনিক ব্যবসা আর সব ব্যবসাকেই টেক্কা দিয়ে টাকা বানানোর ফ্যাক্টরীতে পরিণত হয়েছে।
সরকারের উচিত দৃঢ়ভাবে প্রতিটি ক্লিনিকের মান যাচাই করে দেখা আর ঐ পরিদর্শনে পরিদর্শককারীও যাতে টাকার কাছে তার নিজস্ব মূল্যবোধকে বিক্রী না করে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা। একটা ক্লিনিক খুলতে যা যা রসদের প্রয়োজন, তার বিন্দুমাত্র অভাব যে সমস্ত ক্লিনিকে দেখতে পাওয়া যাবে, তার সবক'টাই তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেবার ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু তাই নয়, এ ধরণের ব্যবসাতে যে সমস্ত ডাক্তার সহায়তা দেবে, তাদের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করার আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।