শেষ বলে কিছু নেই
১৭
রাস্তায় দাঁড়ানো নিঃসঙ্গ বালকের চোখের প্রতিবিম্বে ধুঁকপুক করছে জীবন
তার কাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর অংশীদারিত্ব কিছুটা গদ্যের, বাকী পুরোটাই পদ্যের;
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে সুনীল আকাশের অন্তর্গত পাঁজর খুলে দেখি-
হাড়গোড় নক্ষত্র-নিহারিকায় কোথাও নিশানা অছে কি না চরম গন্তব্যের...
১৮
বিকেলের প্রিয় দেবদারু, কী সুন্দর নুঁয়ে আছে বাতাসের উজানে
জীবন গঙ্গায় পূন্যস্নানে মগ্ন, নগ্ন-তীর্থযাত্রীরা আনন্দে আত্মহারা...
আজ যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল, অথবা সেদিন যারা বৃষ্টি হয়েছিল সমতটে
দেবদারুর আলো-ছায়ায় নিমেষে নিরুদ্বেগ মালকোষ হয়ে গেল তারা
১৯
তুমি বিমূর্ত গোলাপের মত ফুঁটে আছো
বুঁদ হয়ে আছো বৃতি, দল আর বৃন্তে;
শিল্পের বাগান থেকে তুলে আনতে ভয় হয়
পাছে তোমায় ভুল করে ফেলি চিনতে...
২০
ঘড়ির কাটায় বসে অলস প্রহরগুলো ঢুলুঢুলু চোখে স্বপ্ন দেখে-
স্বপ্নগুলোকে চাঁদের দেশের বিপুল ঐশ্বর্যে নিয়ে যাবে ব’লে;
আমার দুঃস্বপ্নরা মধুচন্দ্রিমায় যায়, টিকটিক করে নিঃসঙ্গ ঘড়ি
তীর্থমৃতযোগে শুক্লা পঞ্চমির চাঁদ ডুবে গেলে আকাশের কোলে
(ক্রমশ....)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।