আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাব্যচূর্ণ (১৩, ১৪, ১৫, ১৬).................অপূর্ব সাহা

শেষ বলে কিছু নেই

১৩ আমি চাঁদ ভালোবাসি বলে আমার শিথানের জানালা চন্দ্রমুখী হয়ে আছে আমি নদী ভালোবাসি বলে উদ্ভিন্ন যমুনা শুয়ে থাকে আমার বালিশে বিছানায় কোন কোন রাতে স্বৈরিনী চাঁদ ছুঁয়ে দিলে বিরহ-কাতর জানালার আরশি চন্দ্রতাপে আমি জ্বলে যাই, পুড়ে যাই, আমি ডুবে যাই অতল যমুনায়... ১৪ মিনারেল ওয়াটারের খালি বোতলটাকে আমি বলের মত লুফালুফি করি অপাপবিদ্ধ অবসরে বুঝতে চেষ্টা করি তার বুকের শূণ্যতার বিপুল বিস্তরণ কত কত ভিখারির ফুটো থালায় ঠকাস্ শব্দে ফেলেছি আকাঙ্ক্ষার ধাতবমূদ্রা আজ বোতলের বুক থেকে জীবনের কিণার পর্যন্ত শুনি শুধু তারই অনুরণন ১৫ আমি ঠাকুরমার রূপকথাগুলো কাশ্মিরী শালের মত গায়ে পরে থাকি আর বেভুল মৌসুমে হাটে হাটে বেচি শ্রাবস্তির বিস্মৃত আনাজপাতি; ঘোর যন্ত্র-সংকটে আমার অস্তিত্বকে সযতনে সিন্দুকে তুলে রেখে ঘনঘোর শ্রাবণের রাতে, হরোপ্পার পথে পথে জলকেলিতে মাতি... ১৬ কেমন আছো প্রতিধ্বনি? কেমন আছো আলোর প্রতিসরিত রশ্মিমালা? ভাল আছো বিবাগি দুপুর, লাউডুগী বিকেলের অলৌকিক রঙ-বিন্যাস? দিনভ’র উড়াউড়ি শেষে, কান্তিময় সন্ধ্যার সানুদেশে নত হলে পাখি মরে যায় ধ্বনি, নিভে যায় আলো, জেগে ওঠে ছায়া-পৃথিবীর প্রতিভাস...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।