সত্যই সুন্দর, সুন্দরই সত্য- জন কীট্স
আগে ব্লগে আসতাম একটা শেয়ারড্ পিসি ব্যবহার করে। সম্প্রতি নিজের মতোকরে ব্যবহার করার মতো একটা পিসির মালিক হয়েছি আমি। তবে আমার এই পিসিটি নতুন নয়। সমসাময়িক কোন হার্ডওয়্যার এতে নেই। অর্ধ যুগ আগের হার্ডওয়্যারের পিসি।
এক কথায় পূরাতন হার্ডওয়্যার এর সমন্বয়ে জোরাতালি দিয়ে দাঁড়া করানো একটা পিসি। নতুন কেনার সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় এই জোরাতালি দেয়া পিসিতেই আপাততঃ সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এর আগে যে পিসি শেয়ার করে ব্যবহার করতাম সেটি ডুয়েল কোর ২.৫ গি. হা. প্রসেসরের, র্যাম ২ জিবি, অপারেটিং সিস্টেম উইনডোজ সেভেন। আমার বতর্মান জোরাতালি দেয়া পিসির প্রসেসর পেন্টিয়াম-৪ ২.২৬ গি. হা., র্যাম ১২৮*২=২৫৬ এমবি। তাই এতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইনডোজ এক্সপি ছাড়া অন্যকিছু চলেনা।
একসাথে দু’টোর বেশী প্রোগ্রাম চালানো যায় না, হ্যাং হয়ে যায়, তারপরও কাজ করে অনেক ধীরে। আগের শেয়ারড্ পিসিতেও এক্সপি ব্যবহার করেছি। কিন্তু উইনডোজ সেভেন আসার পর উইনডোজ সেভেনেই বেশ অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
হঠাৎ পিসির কাজের ধরণ আর গতির এমন পরিবর্তনে আমি বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছি। একসাথে কয়েকটা ওয়েব পেজও ওপেন করতে পারিনা, ওমনি হ্যাং করে বসে।
প্রসেসর পিনযুক্ত হওয়ায় খারাপ হয়ে যাওয়া মেইনবোর্ড পরিবর্তন করার সময় প্রসেসর কম্পিটাবল পুরোনো সিরিজের মেইনবোর্ড লাগাতে হয়েছে। ইসনিকের এই মেইনবোর্ডে র্যামের জন্য মাত্র ২টা স্লট আছে। এই পিসির আগের ইন্টেল মেইনবোর্ডে র্যাম স্লট ছিলো ৪টি, ১২৮*৪=৫১২ এমবি র্যাম লাগানো ছিলো এতে। নতুন কেনা ইসনিক মেইনবোর্ডে ২টা র্যাম স্লট থাকায় ১২৮*২=২৫৬ এমবি র্যাম লাগানো গেছে। এতে পিসি আরো অনেক স্লো হয়ে গেছে।
ডিডিআর১ র্যাম ছাড়া অন্যকোন সিরিজের র্যাম এই মেইনবোর্ড সাপোর্ট করেনা। আর খোজ নিয়ে জানা গেলো বাজারে এখন র্যামের দাম আকাশ ছোঁয়া।
গত বছর যখন ভাগিনার জন্য পিসি কিনতে যাই তখন বিসিএস কম্পিউটার সিটি হতে ২ জিবি ডিডিআর২ র্যাম কিনেছিলাম ১৬৫০ টাকা দিয়ে। এখন সেই ২ জিবি ডিডিআর২ র্যামের দাম ৩৭৫০টাকা!! ১ জিবি ডিডিআর১ র্যামের দাম আরো বেশী, ৩০০০ টাকা! এসব কি ব্যাপার? যেখানে ৩৫০০ টাকায় ৩২০ জিবি হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়, সেখানে ২ জিবি র্যামের দাম ৩৭৫০ টাকা? মগের মুল্লুকে চলে এলাম নাকি? অনুসন্ধ্যান করে জানা গেলো সরকার সব ধরনের মেমোরি কার্ডের ওপরে ৪৫% ট্যাক্স বসিয়েছে। এর মধ্যে র্যামও আছে।
কিন্তু মেমোরি কার্ডের দাম না বাড়লেও র্যামের দাম ঠিকই বেড়েছে। কারণ হলো বাজারে বিক্রি হওয়া মেমোরি কার্ডের অধিকাংশই আসে চায়না হতে অবৈধ পথে, ট্যাক্স ফাকি দিয়ে। তাই মেমোরি কার্ড ঠিকই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কম্পিউটার পণ্য যেহেতু চোরাই পথে আসেনা, তাই র্যামের দাম ঠিকই বেড়ে গেছে। তাহলে এই ট্যাক্স বসিয়ে লাভ হলো কী? মাঝে থেকে নতুন কম্পিউটার ক্রেতার ওপর র্যামের অন্যায্য দামের একটা বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এটা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ঢাকা শহরের মধ্যে মিরপুর বা কাছাকাছি অবস্থানকারী কেউ কি আমাকে পুরনো একটা ৫১২ এমবি ডিডিআর১ র্যাম দিতে পারবেন? পুরোনো র্যাম বাজার মূল্য দেব। যদি কারো কাছে থাকে, অনুগ্রহ করে মেইল করুন:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।