আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীর ক্ষমতায়নের nth তম সংজ্ঞা ও বাংলাদেশি রূপ

এক অসংজ্ঞায়িত চরিত্র!!

নারী পুরুষের প্রতিবিম্ব । নারী-পুরুষ সমান সমান । এ নিয়ে কোন দ্বিমত বা ত্রিমত নেই। যুগ যুগ ধরে এই উপমহাদেশের ইতিহাস রচিত হয়েছে নারীদের বঞ্চনা ও গ্লানির গল্প নিয়ে । আশার কথা প্রাচীন যুগ,মধ্য যুগ,সামন্ত যুগ পেরিয়ে আজ আধুনিক যুগে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সভ্যতা বিনির্মানে সমান অংশীদার।

কিন্তু আমাদের দেশে নারী ক্ষমতায়ন,সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা সর্বোপরি নারী স্বাধীনতা কি প্রকৃত অর্থে অর্জিত হচ্ছে? আমি শুধু পেশাগত জীবনে নারীদের অংশগ্রহন সম্পর্কে আ্লোকপা্ত করব। আজকাল পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এমন সব পেশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করছে যেসব পেশায় আগে তাদেরকে কল্পনাও করা যেত না। যেমন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে কিংবা ট্রেনের চালক হিসেবে। তবে কি নারী সেদিনই পুর্ণ ক্ষমতার স্বাদ পাবে যেদিন তারা সকল পেশায় সমানভাবে বিচরন করবে?আধুনিক তথাকথিত নারী স্বাধীনতার সংজ্ঞা কি এটিই?নারীরা নিজেরাই কি বুঝতে পেরেছে কি তাদের প্রকৃ্ত ক্ষমতায়ন কোনটি? আমি বেশিদুর অগ্রসর হতে চাই না। শুধু বলতে চাই পুরুষ নারীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে।

নিশ্চয় নারীবাদীরা হইচই শুরু করবেন। আমি আসলে শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে এগিয়ে থাকার কথা বলেছি। নারীরা মায়ের জাত। আমরা নারীদের দেখতে চাই শিক্ষিকা হিসেবে ছাত্র গড়তে,চিকিৎসক হিসেবে রোগীর সেবায় ,আইনজীবি হিসেবে মানবাধিকার রক্ষায় এবং গবেষনাধর্মী ও সৃষ্টিশীল কাজে । আমরা দেখতে চাই না রাতের শিফট শেষ করে বাড়ি ফেরা কোনো মায়ের বিছানায় ঘুমন্ত শিশুর দিকে করুন চাহনি কিংবা পেশাগত জীবনে নারীর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা কিংবা পাথরসম কঠিন কাজে ।

আমরা আমাদের মা বোনদের এমন সব জায়গায় দাড় করাতে চাই না। অন্য সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরন না করে নিজেদের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নারীর ক্ষমতায়ন করতে হবে,নাহলে বাড়বে ধর্মীয় ও সামাজিক মুল্যবোধের অবক্ষয়,অরাজকতা ও বিশৃংখলা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।