কে্উ তো এক বারও বলেনি,কেউতো একবারও ভাবেনি
আমি ব্যাচেলর পোলা তাই আমাকে মাঝে মাঝে বাসা পরিবতর্ন করতে হয় এবার উঠেছি লেকসিটি কনকর্ডে একটা এপার্ট্ম্যান্ট কম্পলেক্সে। চার দিকে খোলা জায়গা খুব মজা। এপার্ট্ম্যান্ট ভাবসাবই আলাদা। সব টিপটপ। ড্রেস পরা গার্ড থাকে ২৪ ঘন্টা।
মোটামুটি সব বাসিন্দাদেরই গাড়ি আছে, শুধু আমাদের নেই। লিফট ও আছে একটা। এখন আর কষ্ট করে সারাদিন পর varsity থেকে এসে আর সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়না। লিফটে উঠ, বোতাম টিপ দাও, সাই করে লিফট গন্তব্যে নিয়ে যাবে। আহ খোদা! আর ভাবি লিফটে যেন সেইরকম একটা মেয়ে উঠে আমার সাথে!বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় কে কি খোঁজে কে জানে! কেউ হয়তো খোঁজে কম ভাড়া, কেউ হয়তো খোঁজে বড়সড় রুম।
আমার অবশ্য এসব কিছুতেই মাথা ব্যাথা নেই। আমি নতুন বাসা দেখতে গিয়েই দেখি রুমে জানালা কতগুলো আর দেখি আমার বাসার কাছে কোনো বাসা আছে নাকি ,আবার দেখি ছাদ খোলা নাকি ইত্যাদি ,ভাবছেন আমি প্রকৃতি প্রেমিক ...নাহ, আমি কোন প্রকৃতি প্রেমিক নই। আমার রুমের জানালা দিয়ে কোন সুন্দরী মেয়ে দেখা গেলেই আমি খুশি। আর জানালা দিয়ে ছাদ বা বারান্দা দেখা গেলে তো কোন কথাই নেই।
এবারও যথারীতি ঘুরে ঘুরে আমার রুমের জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখছি...কাউকে দেখা যায় কি যায় না।
নাহ, তেমন কাউকে দেখতে পেলাম না। তাই কিচেন দিয়ে উকি দিলাম শুধু পাশের বাসার একটা লোককে দেখলাম রুমে টিভি দেখছে। তা, লোকটার বয়েস ৬০ এর মতই হবে। মনে মনে বললাম হে আল্লাহ...এই লোকটার যেন সেইরকম দেখতে একটা মেয়ে থাকে আর জানি সারাদিন জানালার কাছে বসে থাকে,আমি বারবার উকি দেই আবার দেখি কেউ আবার আমাকে দেখলো কিনা ,দেখলে তো আবার ..হোয়ে যাবে তাই আমি খউব সতর্ক
। কিনতু যার জন্য আগ্রহ তার দেখা নাই।
আল্লাহ আমার দোয়া বেশ তাড়াতাড়িই কবুল করলেন মনে হল। একদিন varsity থেকে ফিরছি, দেখি, লিফটের সামনে বোতাম টিপে এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে অপেক্ষা করছে। আমি ও বেশ একটু ভাবসাব নিয়ে পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। আর মিথ্যা ফোন করতে লাগলাম ,আমার সেকি ভাব মনে মনে ঠিক করে নিচ্ছি লিফটে উঠলে কি কি কথা বলব।
ওমা, মেয়ে দেখি একটু পরেই হনহনিয়ে সিড়ির দিকে হাঁটা দিল! ওহ! আমার সাথে লিফটে চড়বে না বুঝি? তা, ওই মেয়ে কি ভেবেছে আমার একা একা গ্যালে লিফটে কোনো ঝামেলা হবে? যাও সিড়িতে চড়ে।
আমি যাচ্ছি লিফটে চড়ে। হে আল্লাহ... এই মেয়ের বাসা যেন সবশেষ তলায় হয়। উঠতে উঠতে যেন এই মেয়ের .... ব্যাথা হয়ে যায়।
আমার মনটা যে একটু খারাপ হল । কিন্তু এটা বাইরে প্রকাশ করলে কি চলে?
দুপুরে ভাত খেয়ে বেরুলাম বিড়ি খতে খেতে ভাবলাম কি করা যায়।
বাসায় এলাম বিছনায় ভাবছিলাম এমন সময় বড় সিনিয়র ভাই এল জিগাইলো আমি কিছু বললাম না । আসিক ভাই বিশাল intelligent লোক। তার পিছনে মেয়েরা সারাক্ষণ ছাগলের মতো করে ঘুরছে। আসিক ভাই অবশ্য কাউকে পাত্তা টাত্তা দেন না। উনার কাছ থেকে মেয়ে পটানোর কিছু টিপস নিয়ে নিতে হবে।
কিনতু তাকে কিসু জিগাইলে কোনো কিসু খাওইতে হবে মহা ঝামেলা ।
রাতে অনেক ভেবে সাহস করে আসিক ভাইের রুমে গ্যালাম। উনি রুমেই ছিলেন। আমার সব কাহিনী শুনে কিছুক্ষণ চুপ মেরে বসে রইল। ভাবলাম আসিক ভাই কি আলিফ লায়লার মতো পাথর হয়ে গেল নাকি? অবশ্য হবারই কথা।
আমার মত জলজ্যান্ত হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে কোন মেয়ে এরকম করতে পারে শুনলে যেকোন হৃদয়বান লোকেরই মনে কষ্ট পাওয়ার কথা। এই জন্যই বাপের হোটেলে খাওয়া কনো কাজ না করা স্বত্তেও আসিক ভাইকে আমার এত ভালো লাগে।
আসিক ভাই এবার মুখ খুললেন...পুরানো কথা মনে করিয়ে দিলি রে যুবরাজ,আপনাদের বলা হয় নাই যে আমার নাম যুবরাজ। অনেক আগের কথা। থাকি বুটগাটে।
আমিও এরকম একদিন লিফটে উঠলাম। সাথে সেইরকম দেখতে একটা মেয়ে। লিফটা ৫ তলা পর্যন্ত উঠতেই কারেন্ট চলে গেল...। আমি বললাম আপনে বুটগাটে লিফট পাইলেন কৈ ,সে বলল চুপ কর , আরে বাসায় না varsity তে আমি বললাম ঠিক আছে বুঝাইয়া কবেন না, না হলে বুঝবো ক্যামনে ,এই বার কন
তারপর?? তারপর কি হল?? উত্তেজনায় আমার শরীর কাঁপতে লাগল মনে হয় তাপমাএা ১১০ এ চলে গেলো,।
আসিক ভাই আবার কিছুক্ষণ আমার দিকে উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকলেন, তারপর একসময় বললেন... তারপর আর কি হবে? যা হওয়ার তাই হল আহা আহা আহা আহা।
কি হল?
আমি বললাম আমি যদি থাকতাম তাহলে ভালো হতো ,আসিক ভাই বললেন কি ভালো হতো,না মানে আমি দখতে পারতাম ,এই কথা শুনার পর আসিক ভাই বললেন , যা, রুমে যা । আমি রুমে না গিয়ে কিচেন এ চলে গ্যালাম আবার try করতে লাগলাম ,না কোনো ফলাফল নাই,রুমে গ্যালাম কিছুতে মন বসছে না নাটক দেখলাম ,নাটক দেখার ফাকে ফাকে কিচেন এ আসতাম ,আল্লাহ আমার দোয়া বেশ তাড়াতাড়িই কবুল করলেন মনে হল। এক মেয়ে কে দেখলাম ওরে বাবা খুবি সুন্দরী মেয়ে কি করি নিজেকে আর সামলাতে পারছিলাম না ,আমি ভাবলাম এই মেয়ের সাথে .prem...করতে হবে,যাক মেয়ে কে আমি গোপনে দেখতাম আর মনে মনে বলতাম আহা আমি তাকে পাইলাম,একদিন লুকিয়ে দেখছিলাম তো কঠিন ব্যাপার ,নিজেকে আর রাখতে পারছিলাম না ,মনে হয় তাকে বলে আসি ,আমি তোমাকে .. করি। কিনতু পেছনে sound হলো পেছনে তাকিয়ে দেখি সবাই আমার কাহিনি দেখছে ,আমি মাথা নিচু করে বললাম না তারা দেখছিলাম ,সবাই হাসাহাসি করলো,এই কাহিনি র পর বাড়ি গ্যালাম টাকা আনতে ৪/৫ বাড়ি থাকার পর যখন শুনলাম আমার মহান আসিক ভাই সেই মেয়ের সাথে ফোনে কথা কয় ,আমি মনের ব্যাথায় আশাটাকে শেয করলাম,পরে শুনছি ঐখান থেকে আসার পর আশিক ভাই নাকি .... খাইছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।