সাড়ে পাঁচ বছরের সামিউল খেলতে গিয়ে আর ফেরে নি। দুই দিন পর বাসার কাছে পাওয়া গেলো বস্তাবন্দী লাশ। খুনের অভিযোগে মা গ্রেপ্তার। ' প্রথম আলো, ২৫.০৬.১০
গতকালই এই সংবাদটি পড়েছি আমি। সংবাদটি পড়ে চোখ ভেসে গেছে অযাচিত নোনা জলে।
খুনের অভিযোগে মা গ্রপ্তোর। এই কথাটা শুনেই কেমন গা শিঁউের ওঠে। খুনের জন্যই মা নাকি খুন হওয়ার জন্য সন্তান। আমরা জানি এ দুটোর একটাও কারো কাম্য নয়। কিন্তু ইদানীং তারপরও এই ঘটনা গুলো ক্রমেই দৃষ্টি গোচর হচ্ছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মোহাম্মদপুরের আদাবরে নবোদয় হাউজিংয়ের এ ব্লকের ৯ নম্বর সড়কের পাশে একজটি ফাঁকা জায়গা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো খেলতে গিয়ে আর বাসায় ফেরে নি সামিউল। গতকাল ফিরলো তাও আবার লাশ হয়ে। হয়তো এই লাশ হয়েও বাসা নামক নরক পুরীতে ফিরতে চায় নি সামিউল। তাইতো বস্তাবন্দী নিথর দেহ পড়েছিলো রাস্তার পাশে।
সামিউলের বাবা আজমের বক্তব্য, তাঁরা স্ত্রী আয়শা হুমায়রার সঙ্গে আরিফ নামে একজনের অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো। তাঁর ধারণা এই অনৈতিক সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো বলেই তাঁরা পরিকল্পনা করে সামিউলকে হত্যা করেছে।
সামিউলের মা আয়েশা পুলিশকে জানিয়েছেন, সামিউল আরিফের সঙ্গে অনৈতিক বিষয়টি জেনে গিয়েছিলো এবং সে এই ঘটনা তাঁর বাবাকে বলে দিতে চাওয়ায় তাঁরা সামিউলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ বিষয়টি পরক্ষণেই আবার অস্বীকারও করেছেন সামিউলের মা।
আমাদের দেশে এখন এ রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা হরহামেশাই শোনা যাচ্ছে।
এগুলো প্রকাশিত। হয়তো তা আমরা জানতে পারি। এ রকম অনেক পরকীয়া প্রেম আর অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা আমরা জানি না। তাহলে এর চেয়ে তো আমেরিকান সংস্কৃতিই ভালো। অযথা আমরা ওয়েস্টার্ন কালচার অনুসরণ করতে গিয়ে না পারছি সেই ওয়েস্টার্নকে আঁকড়ে ধরতে, না পারছি বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে লালন করতে।
আর এসবের বলি হচ্ছে সামিউলের মতো নিস্পাপ প্রাণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।