ক্যান্সার : এড়িয়ে চলুন প্রাণীজাত চর্বি
খাদ্য শরীরের পুষ্টি যোগায়। শক্তিরও উৎস বলা চলে খাদ্যই। বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানীয় তাই সুস্থ শরীরের জন্য অতি দরকারি। প্রতিনিয়ত দেহকোষ ক্ষয় হচ্ছে। এ ক্ষয়পূরণে সহায়তা করে থাকে পুষ্টি।
অর্থাৎ যার পূর্ব অবস্থা খাদ্য। কিন্তু সব খাদ্যই আশীর্বাদ নয়, কিছু কিছু খাদ্য রীতিমতো অভিশাপ স্বরূপ। যেমন কিছু তথ্য-উপস্থাপন করেছেন একদল বিজ্ঞানী। তাদের মতে, প্রাণীজাত চর্বির সঙ্গে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের যোগসূত্র রয়েছে। সহজ করে বললে বলতে হয়, লাল মাংস এবং দুগ্ধজাত খাদ্য ভক্ষণে অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
একদল মার্কিন বিজ্ঞানী গড়ে ছয় বছর যাবৎ লাল মাংস ও দুগ্ধজাত খাদ্য ভক্ষণে অভ্যস্ত ৫ লাখ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালান। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের জার্নালে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। । যেসব লোক প্রাণীজাত চর্বি ভক্ষণে অভ্যস্ত তারা অন্যদের তুলনায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বেশি।
এক্ষেত্রে পুরুষের বেলায় অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ৫৩ ভাগ। মহিলাদের এ ঝুঁকি ২৩ ভাগ। পক্ষান্তরে প্রক্রিয়াজাতকরণ মাংস ভক্ষণে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৬ ভাগ।
গবেষক দলের প্রধান ড. রিসেল-সোলেনবার্গ সলোমন বলেন, প্রাণী ও দুগ্ধজাত চর্বির সঙ্গে উদ্ভিদজাত চর্বির তুলনামূলক গবেষণায় দেখা গেছে প্রাণীজাত চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অবশ্য অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার আরো কারণ হচ্ছে ধূমপান, আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ফলমূল ও সবজি কম অথবা একেবারেই না খাওয়া।
তাই ক্যান্সার এড়াতে তিনি প্রাণীজাত চর্বি ও দুগ্ধজাত খাবার পরিহারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ উদ্ভিদজাত খাদ্য-বিশেষ করে আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ফলমূল ও সবজি বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনুরূপ পরামর্শ দিয়েছেন ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক তথ্য কর্মকর্তা জোসেফিন কুয়েরিডো।
(বিবিসি ওয়েবসাইট অবলম্বনে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।