http://www.facebook.com/doyougo
সামুতে অনেক বান্দর ব্লগার আছে যারা তাদের বান্দ্রামির কত অকপটেই স্বীকার করে। জীবনে বান্দ্রামি করে নাই এরকম মনে হয় পাওয়া যাইবো না, হয়ত কেউ প্রকাশ্যে বান্দ্রামি করে আর কেউ লুকায়া লুকায়া। বান্দ্রামি করতে যাইয়া কত পুলাপাইনের যে হাত-ঠ্যাঙ ভাঙছে তার হিসাব নাই। চেয়ার থাইকা পইড়া, গাছ থাইকা লাফ দিয়া কতভাবে হইছে তারও হিসাব নাই। যারা একটু উচু যাতের বান্দর তাগো হাত পা ভাঙার সাথে মাথাও ফাটছে।
কারও হয়ত একবার কারও বেশী। আমি অবশ্য শান্ত টাইপের বান্দার ছিলাম তাপরেও মাথা ফাটায়া হেটট্রিক করছি! প্রথমবার ফাটছিল যখন বয়স ৫। পাহারের কিনারা দিয়া হাটতাছিলাম, কেডায় জানি উপ্রে থাইকা একটা আস্তা ইট মেলা মারছে আর আয়া লাগছে আমার মাথায়। কপাল ভালা ঐটা আবার লতাপাতায় লাইগা গতি কমার পর মাথায় লাগছিল নাহয় মাথার ঘিলু সব বাইর হয়া যাইত যাই হোক উপ্রে তাকায়া দেখি এইটা আমার ভাই! হেই না দেইখায় এইটা করছে। আর এইদিক দিয়া আমার মাথা ফাইটা সমানে রক্ত পরতাছে দৌড়াইয়া বাসায় গেলাম আব্বা আম্মা দেইথা তো ঐখানেই প্রথমেই হুংকার কেডা আমার পুলার মাথা ফাটাইছে ঐ দিকে আমার ভাইতো ভয়ে বাসাতেই আসে না আব্বা আম্মা যদি কিছু কয়।
আমি অবস্য ভাইয়ের প্রতি ভালবাসার কারনে বাসায় আর কইনাই যে এইটা আমার ভাইয়েরই কাজ। যাই হোক ফাটা মাথায় অবশ্য তেমন প্রবলেম হয়নাই, মানে ডাক্তার লাগে নাই এমনেই জোড়া লাইগা গেছে। এক সপ্তাহ একটু ব্যাথা আছিল খালি।
সেকেন্ড টাইম মাথা ফাটলো যখন বয়স ১০ হইসে। রাইত ৯.৩০ বাজে আম্মা ভাত খাইতে ডাকে কিন্তু আমার মনযোগ উপর তালার পুলাপাইননের বান্দ্রামির শব্দ ।
ভাবলাম একটু দেইখা আসি ওরা কি করে। দুই তলায় উইঠা দেখি হেরা কঠিন ভাবে বান্দ্রামি করতাছে। তাগো একজন বান্দ্রামি করেত যাইয়া একটা পিড়ি(বসার খাট কয় অনেকে) মেলা মারছে আরেক বান্দরের উদ্দেশ্যে আর ঐ পুলা পাঁকা খেলোয়ার এর মত মাথা নিচু কইরা বইসা গেছে ফলাফল হিসেবে পিড়ি আইসা লাগলো আমার কপালে। এরেই কয় ফাটা কপাল সাথে সাথে পুলার বাপ মা আমরে মেডিকেল লইয়া গেল ফাটা কপাল জুড়া দেওনের লাইগা। ৪টা শেলাই লাগছিল।
এখনও এই দাগ যায়নাই। তাই বুঝি কপালটা এখনও ফাটা।
একটা জিনিষ কইয়া লই যেই কয়বার মথাফাটছে একবারও আমি সাথে সাথে ব্যাথা অনুভব করি নাই, অনুভব হইছে ১/২ দিন পরে। সবার এইরকম হয় কিনা যানি না।
শেষবার মাথা ফাটল জাম খাইতে যাইয়া।
এলাকায় একটা বেশ বড় জাম গাছ আছে, পুলাপাইন ঢিল/পাথর মাইরা জাম পারে আর একটু পর পর জাম গাছের মালিক আইসা দৌড়ানি দেয়। আমিও জাম গাছের নিছে জাম খাওয়ার জন্য ঢিল না দিয়া অন্যের ঢিলে পড়ন্ত জাম টোকাইতে শুরু করলাম এমন সময় জাম গাছের মালিক আইসা ক্ষ্যাদানি দিলো কি আর করা যে যার মত দৌড়, আমিও দৌড় দিলাম কিন্তু কারও একজনের জাম গাছের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপিত ইটের টুকরা আমার মাথায় আইসা লাগল আর তৃতীয় বারের মত আবার মাথা ফাটলো। যাই হোক বাসায় যাইয়াতো আর কইতে পারি না যে অন্যের গাছের জাম খাইতে যাইয়া মাথা ফাটছে কইলাম আমি হাইটা যাইতাছিলাম কেডা জানি পাথর মারছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।