পরিদৃশ্যমান সত্তা
নমুনা- ১০৫
গাছের পেটের ভেতরে স্টেরিওটাইপ পাখিগুলো উড়ছে। পারুবন হতে হামার জীপ নিয়ে বেরিয়ে এসো রাবেয়া সুন্দরী। আমরাও সুন্নী কনফারেন্সে যাব।
লোলগাঁও হতে সর্বশেষ বাসটি কি চলে গেছে শিলিগুড়ি! বাতি নিভে গেছে; বিথিকাদের বারান্দায় ঘন-অন্ধকার এখন; দেখা তো যাচ্ছে না শর্মা ভিলা।
আমাদের লোমকূপে বিবিধ বংশের বিশ্বইজতেমা একটু পরেই শুরু হবে।
আখেরি মোনাযাত শেষে আমরাও একসঙ্গে মারা যাব। আপাততঃ পিচ্ছিল যোনীকুঞ্জে দেখে নিচ্ছি জোনাকীর জুয়াখেলা
নমুনা- ১০৬
আমরা দু'জন সারাদিন সাবান মাখি আর আকাশের তলপেট হতে শূকরের উজ্জ্বল চর্বিগুলো গলে গেলে পরস্পর ঘুমোতে যাই। রাত গভীর হয়। ঘড়ির কাঁটা হতে ফোঁটা ফোঁটা গড়িয়ে পড়ে পুঁজ ও পরমাঙ্ক। অন্ধকার আরও গাঢ় হয়।
লোহার পাইপ বেয়ে বোবা বেড়ালের আর্তস্বর আমাদের ফ্ল্যাটে কম্পিত হলে ঘুম ভেঙ্গে যায়। অতঃপর আমরা শক্ত বিছানায় বাংলা ভাষার ৫১টি অক্ষর দিয়ে সাপ-লুডু খেলি। সৃষ্টি করি কবিতা; মাথাহীন মুন্ডুহীন বাতাসের গান
নমুনা- ১০৭
আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম
শিয়রে সারারাত জেগেছে রৌদ্রোজ্জ্বল পাহাড়ের চূড়া
আমায় ডেকে তোলো রক্তজবা
রুপোর রেলিং বেয়ে পানের লতিগুলো উঠে আসছে উপরের দিকে
তোমাদের ফর্সা কবিতা এবং লৌহের ডালপালাসহ দার্জিলিং, আলতাগ্রাম হতে বহুদূর আমার রক্ত ভেদ করে অনন্ত মাছরাঙা উড়ে যাবে অন্তিম অন্ধকারে
এমন প্রকাশ্য আলোয় বলতে পারো নবনিতা
কেন যে বারংবার ফেটে যায় আমাদের মূর্তিনদী মূর্তিনদী মূর্তিনদী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।