আপাতত কিছু বলবোনা
সিলেট,কুমিল্লা নয় এবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঝিনাইদহেও সুস্বাদু কমলার চাষ শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহ, শৈলকুপা, শেখপাড়াসহ কয়েকটি নার্সারীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলার চারা বিক্রি হচ্ছে। চাষীদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও এখান থেকে কমলা বিক্রি সম্ভব। বিশেষ করে কলম দেয়া চারা গাছে এক বছরের মাথায় ফল ধরে বলে এ চারা ক্রয়ের জন্য সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখা গেছে। সৌখিন মানুষ এবং কিছু উদ্যোক্তা বেশকিছু জমিতে চাষ করছে কমলার।
শৈলকুপার অঙ্কুর নার্সারী নাগপুরী কমলার এক লক্ষাধিক কলম চারা দিয়েছে ।
ঝিনাইদহ কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, মাটিতে অম্লত্বের মাত্রা সাড়ে চার থেকে সাড়ে পাঁচ পর্যন্ত থাকলে সে জমি কমলা চাষের জন্য উপযোগী হয়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মিলিমিটারের মধ্যে থাকায় এখানকার জলবায়ু কমলা চাষের জন্য উপযোগী।
কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের এক হিসাবে দেখা গেছে, এক বিঘা জমিতে ৮০ থেকে ৯০টি কমলা চারা রোপণ করা গেলেও কলম চারার গাছ লাগানো যায় প্রায় দেড়শটি। বীজ থেকে উৎপাদিত চারায় কমলা ধরতে ৫ থেকে ৬ বছর লাগে আর কলমের চারা লাগানোর পরবর্তী বছর হতেই কিছু কিছু কমলা ধরা শুরু করে।
কমলার জমিতে সাথী ফসল হিসাবে মরিচ, বাদাম, মাসকলাই, মুগডালসহ অন্যান্য ফসলেরও আবাদ করা যায়।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার অঙ্কুর নার্সারীর মালিক সিতাব উদ্দীন আল আজাদ জানান, সাধারণত মে-সেপ্টেম্বর মাসে কমলা রোপণের ভাল সময় হলেও সারা বছরই চারা লাগানো যায়। তিনি জানান, নার্সরীগুলোতে কলমের চারা ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইতিমধ্যে তার নার্সারী থেকে ৫ শতাধিক চারা ক্রয় করে ময়মনসিংহের ভালুকা প্রজক্টে লাগিয়েছেন এনায়েতুর রহমান বাপ্পী।
শেখপাড়ার সৌখিন কমলাচাষী রেখা খাতুন।
তার বাড়িতে কয়েকটি কমলা গাছ আছে। তিনি জানান, এখানকার কমলার রং, আকার ও স্বাদ ভারতীয় কমলার মতোই। ঝিনাইদহ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেএম আলতাফ হোসেন জানান, এখানকার মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু কমলা চাষের উপযোগী।
নার্সারীগুলো ব্যাপকভাবে কমলার চারা উৎপাদন করতে থাকলে চাষীরা কমলার চারা ক্রয় করা সহ চাষে আগ্রহী হবে। এছাড়া বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখান থেকে কমলা বিক্রি হতে পারে।
ঢাকা নিউজ 24ডট কম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।