আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
মাগুরছড়ার ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় :
ক) অক্সিডেন্টাল পিএসসি ’৯৪ আর্টিকেল-১০ লঙ্ঘন করেছে। গ্যাস উত্তোলন পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। কুপ খননে নিষ্ঠা, বুদ্ধি বিবেচনা ও কারিগরী দক্ষতার পরিচয় অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় নি। যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে তা অবহেলা ও অদক্ষতার প্রমাণ হিসাবে বিবেচ্য।
অক্সিডেন্টালের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, কারিগরী ও আইনগত দিক দিয়ে অক্সিডেন্টালকে অভিযুক্ত করা যায়।
খ) সম্পাদিত চুক্তি ’৯৪-এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না করে অক্সিডেন্টাল সম্পূরক চুক্তি ’৯৮-এর আওতায় সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পিএসসি ’৯৪ এর আর্টিকেল-১০ লঙ্ঘন করে অক্সিডেন্টাল তেল গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধান কাজের অযোগ্য ও অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগ এবং বেলা কর্তৃক হাইকোর্টের দায়েরকৃত ৬১০৫/১৯৯৭ নং রীট আবেদনে আনীত অভিযোগ সমূহ নিষ্পত্তি ব্যতীত সম্পূরক চুক্তি ’৯৮ সম্পাদিত হওয়ায় আইনী বৈধতার প্রশ্নে এই চুক্তি এখন বিতর্কিত।
গ) ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন ব্লো-আউটের পর থেকেই মাগুরছড়া বিস্ফোরণের ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা ছিল।
কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। সরকারের যেসব নির্বাহী কর্মকর্তারা যেসব অর্থ ও স্বার্থে অক্সিডেন্টালের সাথে সম্পূরক চুক্তি ’৯৮ সম্পাদন করেছেন এবং পরবর্তীতে চুক্তি অনুযায়ী কোন কাজ না করে নির্বিবাদে অক্সিডেন্টালকে এ দেশ ত্যাগ করার সুযোগ দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এক্ষেত্রে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রতিয়মান। নিজেরা লাভবান হয়েছেন ও অক্সিডেন্টালকে লাভবান করেছেন। দেশের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি করেছে। এ সত্য এখন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত।
ঘ) সম্পূরক চুক্তি ’৯৮ ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে একমাত্র আইনগত বাঁধা। সেক্ষেত্রে চুক্তি বাতিল হওয়া জরুরী।
ঙ) ভূপাল দূর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ আদায়ে ভারতের অভিজ্ঞতা মাগুরছড়া ব্লো-আউটে গ্যাস সম্পদ ও পরিবেশ ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ আদায়ে মাইল ফলক হিসেবে গণ্য হবে।
চ) মাগুরছড়া ব্লো-আউট সম্পূরক চুক্তি ’৯৮ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ’৯৫ লঙ্ঘনে জড়িত অক্সিডেন্টাল ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী অভিযোগ আনা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।