খেইর
প্রশ্ন চিহ্ন’র দোহাই দিয়ে
তোমাদের উঠানে যখন দাড়িয়া বান্দা খেলি
আমাদের মেরুদন্ডে তখন নীল মাশরুম গজায়
বিধবার থান সরিয়ে জ্যোৎস্নার হৃদপিন্ড হাতে উঠে আসে
পদাঘাতে প্রণয়ে প্রণয়ে দূরে হরিণেরা হিরক ছিটায়
আমার আর স্নান হয়না
দিঘী বারান্দায় পড়ে থাকা কুঁবর্ণ কাঁচুলি ও সাবানে ফাঙ্গাস গজায়
গুলমোহর ঝোপে বসা গুঁইসাপের পেছনের ফিজিক্স ফেটে যায়
তোমার ক্যামিস্ট্রি বই থেকে নব্বুইটি কবুতর চতুর্থ আসমানে ডানা মেলে
বহুদূরে বৃষ্টিচূড়ায় পাহাড় দেখা যায়
চোখের আড়ালে উঁচ্চভুমি হলুদ হতে থাকে
অলসতা থমকে দাঁড়ায়
এ দু'জোড়া চোখের মায়ায়
তেপান্তরে কোনো তুফান আর বাকি থাকেনা
আমাদের আর কোনো কাজ হয়না
বুনে চলি নতুন নতুন ঝগড়ার ঝাঁপি
শশার কোমলজলে গোলাপী শীতলপাটি
সজিনার বাকলে বিশুদ্ধ বনৌষধি
আমার নাক থেকে
বিষের নোলক ডিঙিয়ে শ্বাস নেমে যায়
অথচ আমিতো আগে কখনো দুপৃষ্ঠার বেশি কবিতা লিখিনি
কেশরেই কেটে যেতো কাঁচের আঙ্গুল
প্রভাতের পাপ সরে গেলে সুবেহ সাদিকেই
আমরা পৃথিবীপোড়া ধাতব গলিয়ে তাবিজ বানাই
স্রোত থেকে শ্যাওলাছাই তুলে নিই অমরত্বের জানালায়
ফেব্রুয়ারি ২০১০
ঢাকা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।