বিশ্বকাপের বল নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন দলের কোচ এবং খেলোয়াড়রা। কিন্তু এ বল তৈরির পিছনের কারিগররা এ সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন। তারা রোবট ব্যবহার করে পরীক্ষা নীরিক্ষার পরে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বলটি সবদিক থেকেই খেলার উপযোগী। খবর বিবিসি অনলাইনের।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, বল নিয়ে অভিযোগের তীরটি ছুঁড়েছেন ইংল্যান্ড দলের কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলো ।
তিনি বলেছেন তার দলের খেলোয়াড়দের এ বল বিষয়ক অভিজ্ঞতা সুখকর নয়, কারণ এ বলটি দ্রুত ছোটে। গোলকিপারদের অভিযোগ জাবুলানি বল আটকানো খুবই কঠিন।
তবে সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, এ অভিযোগের জবাবে লাফবার্গ ইউনিভার্সিটির গবেষক ডক্টর অ্যান্ডি এ বলটি পরীক্ষার জন্য রোবট ব্যবহার করেন। রোবটটি কর্ণার, পাস, শট কিক করে দেখায়। রোবট ব্যবহার করে এ পরীক্ষার ফল হিসেবে গবেষকরা মন্তব্য করেছেন, এবারের বিশ্বকাপের বলটিই সবচে সেরা বল।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে অ্যাডিডাসের তৈরি জাবুলানি নামের বল দিয়ে। ‘জাবুলানি’ শব্দটি আফ্রিকার জুলু ভাষায় ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ উদযাপন করা।
এদিকে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এডিডাস জানিয়েছে, এটি ১১তম এডিডাস বিশ্বকাপ বল হবার কারণেই এতে ১১টি আলাদা রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। ১১টি রঙ প্রতিটি দলের ১১ জন খেলোয়াড় ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকান ১১টি অফিশিয়াল ভাষার অর্থ প্রকাশ করে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বলটি বাজারে আসে। এর ওজন ৪৪০ (+/- .২) গ্রাম। জাবুলানি বলগুলো তৈরি হয়েছে চায়নাতে, যদিও এর ব্লাডার তৈরি করা হয়েছে ভারতে। যে বলটি দিয়ে ফাইনাল ম্যাচ খেলা হবে, সেটির রঙ সোনালী।
লাফবার্গ ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, এখন পর্যন্ত তৈরি বলের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে সবচে উন্নত বল জাবুলানি।
সেরা খেলোয়াড়কে ঝলসে ওঠার সুযোগ দিতেই এরকম হালকা বলের ডিজাইন করা হয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
এ বলের ‘গ্রিপ’ অ্যান্ড ‘গ্রুভ’ প্রোফাইল ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে যে কোনো আবহাওয়াতেই একইরকম ফ্লাইট এবং গ্রিপ করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, বলটি বানানো হয়েছে ৮ খন্ডের সিনথেটিক উপকরণ একযোগে আঠা লাগিয়ে। এর ফলে বলটি অবিকৃত আর পূর্ণ গোলাকার হতে পেরেছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।