প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে পার্বত্যাঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি। এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। দূষণের শিকার হচ্ছে পরিবেশের সবকিছু। প্রকৃতি হারিয়ে ফেলছে তার ভারসাম্য। নদীগুলো হারাচ্ছে নাব্যতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্বত্য এলাকায় অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, কাপ্তাই লেক দূষণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, নদীর নব্যতা হ্রাস, লেকের কচুরিপানা, ছড়ার পানির মাত্রা কমে যাওয়া ও গৃহপালিত পশুপাখির প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস ও নানারকম ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অধিক হারে বৃক্ষ নিধন, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা প্রভৃতি সমস্যাকে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ফল।
এরফলে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী জীবিকা ছেড়ে অনেকে জীবন-জীবীকার তাগিদে পেশা পরিবর্তন করছেন।
অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীর নব্যতা হ্রাস পাওয়ায় কাপ্তাই লেক পরিবেষ্টিত রাঙামাটি এলাকার দুর্গম অঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় কাপ্তাই বিদু্যত্ উত্পাদন কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশংকা দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের সূত্রে আরো জানা যায়, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে তার মধ্যে পার্বত্য জেলাগুলোর অবস্থান এক নম্বর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল দেশের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে পরিবেশবাদীরা বলেছেন, যত্রতত্র পাহাড় কেটে চাষাবাদ, অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর নির্মাণ, অবাধে বন উজাড় ও বৃক্ষ নিধন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর উত্তোলন, কাঁচা ও পাকা সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে পাহাড় ও মাটি খননের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল মারাত্মকভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে বছরের পর বছর ধরে চলছে পাহাড় ও ভূমিধস। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে দুই বছর মেয়াদি বাস্তবায়িত প্রকল্পে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তবে এপ্রকল্পের কার্যক্রম সঠিকভাবে প্রতি ফলিত হচ্ছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ জনগণের।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।