এখানে হাম্বালীগ নিষিদ্ধ। সকল প্রকার হাম্বাদের পাওয়া মাত্রই গদাম গদাম গদাম। । গুটিকয়েক কুলাঙ্গারের জন্য আমরা সামুকে হারাতে চাইনা। উল্লেখ্য যে, সামুতে ৯৫% ব্লগারই আস্তিক।
আর বাকী ৪% হচ্ছে নাস্তিক। এবং ১% হচ্ছে ধর্মবিদ্বেষী। এই ১% কুলাঙ্গারের জন্যই আমাদের প্রিয় সামু এখন হুমকির মুখে। এদের প্রধান কাজই হচ্ছে যেকোনো ধর্মবিশ্বাসকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করা। এদের প্রতিকার করা সহজ কথা নয়।
এইসব কুলাঙ্গারদের একটা আইডি ব্যান করলে আরেকটা আইডি নিয়ে এসে পূণরায় তাদের কাজকর্ম শুরু করে। এদের মধ্যে অনেকে আছে, যারা ধর্মকে গালাগালি করে স্টার হতে চায়।
ব্লগের অনেক বুদ্ধিজীবির মতে, "ধর্মকে গালাগালি করে মন্তব্য করাটা তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা। এইটা নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাদের মন্তব্য কারও পছন্দ না হলে ইগনোর করা যেতে পারে।
"
সেইসব ভেকধারী বুদ্ধিজীবিদেরকে বলি, আপনার বাবাকে যদি আমি একটা কুৎসিত ভাষায় গালি দিয়ে বলি, গালি দেয়াটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তখন আমার যুক্তির ধার আপনি কততুকু ধারবেন?
আপনাদের মতো চুতিয়াদের খুব ভালো করে চেনা হয়ে গেছে। খুব ভালো করে।
ব্লগ কর্তৃপক্ষ যেখানে বলছে, ধর্মকে অবমাননা করা কোনো ব্যক্তিস্বাধীনতা হতে পারেনা। তখন সেইসব ধর্মবিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের কার্যকলাপ কিভাবে সামুতে বৈধ হতে পারে? আর যদি বৈধ না-ই বা হয়, তাহলে "মুহাম্মদ (সঃ)" কে "মহা উন্মাদ(নাউজুবিল্লাহ)" বলার পরেও কিভাবে এতদিন আসিফ মহিউদ্দিনের মতো আগাছারা সামুতে থাকতে পারে? এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বললে উল্টো বিরোধীতাকারীকেই ব্যান করা হয়!
শ্রদ্ধ্যেয় জানা আপার মতে, আসিফকে এর আগেও ধর্মকে গালাগালি করার অভিযোগে ব্যান করা হয়েছিলো।
এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত থাকার কারনে তাকে পূণরায় ব্লগে ফিরিয়ে আনা হয়। আচ্ছা, জামায়াত-শিবিরের অনেকেই তো বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে তাদেরকেও কি ব্যান করার পর আবার ফিরিয়ে আনা হবে?
এদেরকে পেলেপুষে বড় করে, এখন দেখা যাচ্ছে এদের কারনেই সামু হুমকির মুখে, তখন সেই আমাদের মতো সাধারন ব্লগারদের কাছেই সামু এসে ত্যানাপেচিয়ে সাহায্য চাওয়া শুরু করলো। আমি আমার বক্তব্য স্পস্ট করে বলতে চাই, ধর্মবিদ্বেষীদের জন্য আমার কোনো মায়া-মমতা নেই। "আল্লামা শয়তান" যার আইডির নাম হতে পারে, ষে কোন স্তরের ধর্মবিদ্বেষী হতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কিছু তথাকথিত সিনিয়র নিরপেক্ষ ব্লগারকে দেখা যাচ্ছে, আল্লামা শয়তান, রাসেল, শুব্রত শুভর মুক্তির দাবীতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তাদের মতে, তাঁরা ধর্মকে গালাগালি করলেও এইটা তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা।
যেকোনো মতের একজন ব্লগারের গ্রেফতার মানেই হচ্ছে, পুরো ব্লগ কমিউনিটির জন্য অশনিসংকেত।
আচ্ছা, শফিউর রহমান ফারাবী নামের একজন ইসলাম্পন্থী ব্লগার যখন কয়েকদিন আগে গ্রেফতার হলো। তাকে রিমান্ডে নেয়া হলো, তখন কোথায় ছিলো আপনাদের মায়াকান্না? কোথায় ছিলো ব্লগের "ব্যক্তিস্বাধীনতা" এর যুক্তি? কোথায় ছিলো মানবতা?
নাকি তাঁর "ব্যক্তিস্বাধীনতা" বোতলবন্দি?
যাইহোক, আমরা চাই সামু চিরঞ্জিবী হোক।
ধর্মবিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের লালন-পালন এবং বিপদে পড়লে সাধারন ব্লগারদের হাতে-পায়ে ধরে বাচার আকুতি বন্ধ করুক।
কেও যেন "ব্যক্তিস্বাধীনতা" এর ছুতোতে অন্যের অনুভূতিতে আঘাত না হানে।
আমরা শফিউর রহমান ফারাবীর মুক্তি কামনা করি।
তাঁর লেখনীর বিরোধীতা লেখনীর মাধ্যমেই করা হোক, ফ্রেফতার, রিমান্ডের মাধ্যমে নয়। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।