পৃথিবীতে ফুটবল ভক্ত দুই শ্রেনীর। একদল আর্জেন্টিনার সমর্থক অন্যদল ফুটবল খেলা বোঝেনা। এই কথা আমার না। নিশ্চয় এরিষ্টটল লেভেলের কেউ বলেছিল। সত্য কথা বলতে এরিষ্টটল হতে হয়না।
যে কেউ বলতে পারে। এটাও তাদের মধ্যে কেউ হবে। সত্যবাদী, মহাপুরুষ।
নতুন প্রজম্নের মধ্যে ব্রাজিলের সমর্থক প্রচুর।
না হবার কোনো কারণ নাই, তারা তাদের চোখের সামনে দেখেছে কীভাবে ব্রাজিল টানা কয়েকটা বিশ্বকাপ নিল।
তারা ওই দলভুক্ত, যারা খেলা শেষে সেই দলে ভীড় করে যারা জিতে যায়।
বাংলাদেশে নির্বাচনের পর এমন দেখা যায়। ওমুক স্থানের বিএনপির সভাপতির আওয়ামী লিগে যোগদান। ছবি তে দেখা যায় হাসিনাকে ফুল দিয়ে যোগ দিচ্ছে।
ব্রাজিলকে সমর্থনের আরও অনেক কারণ আছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সেটা হলো নামকরণ।
যাই হোক, আমার আলচ্য বিষয় ব্রাজিল না। আর্জেন্টিনা।
অনেককে দেখা যায়, এখন ম্যারাডোনার হাতে গোল দেয়ার কৃতিত্বকে ছোট করার চেষ্টা করছে। বড় দুঃখিত হই এই আচরণে।
আরে ভাই, ম্যারাডোনা তো আর আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করেনা।
সে তো আর নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবী করেনি। সে লাখো কোটি চোথ এড়িয়ে হাতে গোল দিয়েছে হাতে, সেটার ক্রেডিট তাকে দেয়াই যেতে পারে। জাল ভোট ততক্ষণ পর্যন্ত সঠিক, যতক্ষণ সেটা ধরা না পড়ে।
এরপরও তো অনেকে হাত দিয়ে গোল দিয়েছে। এবং দুঃখজনকভাবে লাল কার্ড খেয়ে বের হয়েছে মাঠ থেকে।
যে কারণে ম্যারাডোনা ম্যারডোনাই।
পেলেও যে খারাপ না তো বলছি না। সেও চেষ্টা করেছে। মাঝে মাঝে ভালো খেলেছে। আর্জেন্টিনার অনেক ভালো প্লেয়ারদের মতো পেলেও ভালো খেলে।
যাই এই লেখার কোনো উদ্দেশ্য নাই, একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ বলা যায়। কেউ যদি এর মাঝে কোনো স্বজনপ্রীতির গন্ধ পেয়ে থাকেন তবে তাকে বলবো, ভাই নিজের মন পরিস্কার করেন।
আর যদি কেউ মাইনাস দেয় তার ক্ষেত্রে আমার কোনো কথা নাই। শুধু বলবো, ভাই সাম্বা নৃত্য বা এইসব কাটপিস ডান্সের প্রেমে পড়ে খেলায় সমর্থনের মতো পবিত্র বিষয়কে কলুসিত করবেননা।
এর চেয়ে নিজের দেশের ময়ুরীর ডান্স দেখুন।
আর প্রয়োজনে ব্রাজিল ছেড়ে মতিঝিলে আসুন, শান্তি আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।