যে আমি লেখার জন্য জ্বালায় প্রদীপ, তেল ফেলে ঐ জলে।
২০০৪ সালের দিকে The New York Times পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছিল ভারতের একটি মন্দিরে (Tirupatia) পুরুষ ও মহিলা ভক্তরা প্রতিদিন মাথা ন্যাড়া করে যে পরিমান চুর বিসর্জন দেয় তার ওজন পরিমাপ করলে দাঁড়ায় প্রায় এক টন এবং এই চুল বিক্রি করে মন্দিরের বাৎসরিক আয় হয় প্রায় ৬.১৭ মিলিয়ন ডলার (ভাবা যায় চুলের কত দাম!)। এই সব ধর্মপ্রান ভক্তরা তাদের চুল উৎসর্গ করে তাদের দেবতাদের (Loard Balaji) প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা জানাতে যাতে করে তারা তাঁর আর্শীবাদপুষ্ট হয় এবং মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
শুধু হিন্দু ধর্মে নয়, বৌদ্ধ, খ্রষ্টান, ইসলাম, ইহুদী সহ প্রায় সব ধর্মেই ন্যাড়া কারার এই রেওয়াজ আছে। বিভিন্ন সময়, পেক্ষাপট ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ ও সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ন্যাড়া করা হয়।
খ্রীষ্টানরা মাথার চারপাশের চুল রেখে মাথার মাঝখানে ন্যাড়া করে (রোমান ক্যাথলিকরা ১৯৭২ সালে এই রীতি বন্ধ করে দিয়েছে)। হজ্বযাত্রী মুসলমানরা হজে¦র সময় মাথা ন্যাড়া করে। বৌদ্ধরা সন্ন্যাস্য গ্রহণের সময় বাধ্যতামূলক ভাবে দাঁড়ি গোঁফ কামনো সহ মাথা ন্যাড়া করে।
ধর্মীয় রীতিবাদেও কেউ কেউ মাথা ন্যাড়া করে শুধুমাত্র স্টাইল করার জন্য। আবার ন্যাড়া স্টারদের অনুকরনে তাদের ভক্তদেরও ন্যাড়া করতে দেখা যায়।
এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে মাথা ন্যাড়া করে থাকে (তাতে চুল পড়া বন্ধ হয় কিনা জানা যায় নি) যার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই।
এই সমস্ত ন্যাড়ার পরেও এক ধরনের ন্যাড়া আছে যে ন্যাড়া কেউ হতে চাই না কিন্তু তাকে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। সে ন্যাড়া কোন ভক্তি-শ্রদ্ধা বা উপকারার্থে নয়- সে ন্যাড়া অপমানের, অশ্রদ্ধার, অপরাধের স্বাসিÍ। কেউ যখন র্নিলজ্জ অপরাধ করে তখন সমাজের সমস্ত লোক একত্রে মিলে জনসম্মুখে মাথা ন্যাড়া করে চার রাস্তার মোড়ে নিয়ে গিয়ে মাথায় ঘোল ঢেলে সারা রাস্তা ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং অপমান অপদস্ত করে। কখনও কখনও এভাবে কাউকে কাউকে সমাজচ্যুত করতেও দেখা যায়।
আমাদের দেশের মাহামান্য নেত্রীদ্বয়- আপনারা চুল নিয়ে এই চুলোচুলি বন্ধ করে চুলগুলো জনগণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে জনগণের আর্র্শীবাদপুষ্ট হউন অন্যথায় একটা সময় জনগন আপানাদের মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে সমাজচ্যুত করতে পিছপা হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।