নতুন নতুন হুমকির সম্মুখীন সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। বিভিন্ন দেশ খড়্গহস্ত তো হচ্ছেই, রয়েছে নিরাপত্তা নীতির প্রতিবাদে ফেসবুক বর্জন। এবার গোপনীয়তা নীতি বিষয়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সোচ্চার জার্মান মন্ত্রী।
জার্মানির ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিলেন, ফেসবুক ত্যাগ করবেন তিনি। কারণ গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন।
তিনি বললেন, তাঁর বিশ্বাস এই প্রতিষ্ঠানটিকে শীঘ্রই জার্মান তথ্য সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অত্যন্ত উৎসাহী ফেসবুক ব্যবহারকারী জার্মান মন্ত্রী ইলসে আইগনার বলেন, প্রতিষ্ঠানটির নীতি বিষয়ক পরিচালক রিচার্ড অ্যালানের সাথে বৈঠক করে মনে হয়েছে, গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও তারা এক্ষেত্রে বেশ উদাসীন। বার্লিনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আজকের বৈঠক দুর্ভাগ্যবশত আমার সন্দেহকেই আরো দৃঢ় করেছে। ”
গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত যা করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয় এবং এখনও জার্মান আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে, বললেন আইগনার।
ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সুকারবার্গ উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি গত সপ্তাহেই তাদের প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণের ব্যাপারে বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে।
কিন্তু আইগনার'এর মতে, এসব পরিবর্তন যথেষ্ট নয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত সেবার ধরণে কিছু পরিবর্তন আনছে, যার সাথে ব্যবহারকারীদের তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবেই তাদের তথ্যগুলো তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাচ্ছে।
ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সুকারবার্গও স্বীকার করেন যে, ‘ইন্সট্যান্ট পারসোনালাইজেসন' এর মতো সাইটটির কিছু জায়গার তথ্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ‘প্যান্ডোরা' এবং ‘ইয়েল্প' এর মতো কিছু সহযোগী সাইটে চলে যায়। প্রসঙ্গত, জার্মানিতে ফেসবুকের ব্যবহারকারী রয়েছে প্রায় ৮০ লাখ।
আইগনার জানান, তথ্য সংরক্ষণের জন্য কর্মরত হামবুর্গ-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বিষয়টির দিকে নজর রাখছে এবং তিনি নিজেও এই প্রক্রিয়ার সবকিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
তিনি বলেন, ‘‘এটা ব্যাপক সীমালঙ্ঘন এবং আমার ধারণা তাদের জরিমানা করা হবে। '' তিনি খুব শীঘ্রই এই সাইট ছেড়ে যাবেন, কিন্তু এর আগে তাঁর ৮,৩০০ গ্র“প সদস্য এবং ৪,৩৩৪ জন বন্ধুকে সেটা অবহিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন আইগনার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।