* আমি খুজে বেড়াই নিজেকে *
লাশের মিছিলে, আর্তের চিৎকারে, স্বজনের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে আছে। আমার জানামতে এমন প্রানহানিকর ভয়াবহ অগ্নিকান্ড দেশে আর ঘটেনি। এই ক্ষয়ক্ষতি, প্রানহানি স্বজনের পুরণ হবার নয়। আমরা আসলে এখনো আমাদের প্রয়োজনীয় গাইড লাইন তৈরী করতে পারিনি। পারিনি বললে ভুল হবে, গাইড লাইন তৈরী দরকার বলেই হয়তো মনে করিনি।
এবং যেটুকু আছে তার তদারকির ভার কেউ নেয় বলে মনে হয়না। একটা কেমিক্যালের গোডাউন অথবা যে কোন গোডাউন কোথায় থাকবে, তার কাঠামো কিভাবে হবে তা মানা হয়না। তার মধ্যে বিদ্যুতের কি ব্যবস্থা থাকবে বা আদৌ রাখার অনুমতি আছে কিনা তা মানা হয়না। সরকারের কোন তদারকি চোখে পড়ার মত নয়, এবং নাগরিক হিসাবে আমরাও সচেতন নয়।
ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা অপ্রতুল।
এতোকিছুর পরেও ফায়ারসার্ভিসে নেই আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, যেটুকু সাফল্য তা শুধুমাত্র ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেস্টা, সাহস এবং নিজ দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্যই।
ভবন গুলোতে নেই পর্যাপ্ত সিড়ি, কক্ষের আয়তন বাড়ানোর জন্য এবং খরচ কমানোর জন্য সরু এবং খাড়া সিড়ি যা দিয়ে কেউ চাইলেও দ্রুত বের হয়ে আসতে পারেনা। বাড়ীওয়ালাদের অতি লোভের বলি দিতে হয় অনেককেই। বাড়ী ওয়ালারা পানি সরবরাহ রাখেন না নিয়মিত, বিল থেকে কিছু বাঁচানোর জন্য। কোথায় তাৎক্ষনিক কিছু ঘটে গেলে পানি দিয়ে নিভানোর চেষ্টা করার উপায় নাই।
সর্বপোরি হাসপাতাল গুলোর নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা, খোদ ঢাকা শহরেই হাতে গোনা ২/১টা তাও অল্পকিছু সিট। বেসরকারী হসপিটালে ব্যয়বহুল চিকিৎসা যা অনেকেরই হাতের নাগালে।
এতোকিছুর মধ্যে আমরা নাগরিকদেরকে বসবাস করতে হয় সার্বক্ষনিক একটা অজানা উৎকন্ঠার মধ্যে। এর কোন শেষ আছে কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।