আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওকলাহোমায় ভয়াবহ টর্নেডো, নিহত ৫১

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার বিকালে ঘণ্টায় ৩২১ কিলোমিটার বেগে মুর এলাকায় আঘাত হানে, যেখানে প্রায় ৫৫ হাজার লোকের বসবাস। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে প্রলঙ্করি এ ঝড়ের তাণ্ডবে দুটি স্কুল ও একটি হাসপাতালসহ বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ঘরবাড়ি আংশিক বা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণি বাতাস গাড়ি উড়িয়ে নিয়ে ফেলেছে অন্য গাড়ির ওপর। একটি বাড়িতে আগুন জ্বলতেও দেখা গেছে।


মুরের বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ১২০ জনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে, যাদের ৭০ জনই শিশু।
এ টর্নেডোর বিস্তৃতি ছিল প্রায় তিন কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের আবহাওয়াবিদ রিক স্মিথ বিবিসিকে বলেন, “গত ২০ বছরের পেশাগত জীবনে এতো শক্তিশালী টর্নেডো আমাকে আর দেখতে হয়নি। ”
ঝড়ের পরপরই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন উদ্ধারকর্মীরা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অন্ধকারে ডুবে আছে প্রায় পুরো এলাকা।

  কর্মকর্তারা বলছেন, এর মধ্যেও সারা রাত উদ্ধার অভিযান চলবে।
ওকলাহোমার গভর্নর মেরি ফলিন বলেন, “আজ আমাদের শোকের দিন। বাবা মায়েরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তাদের সন্তানকে খুঁজছেন। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। ”  
তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে ফোন করে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

যে কোনো প্রয়োজনে টেলিফোন করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।  
এর আগে ১৯৯৯ সালের মে মাসে এই মুর শহরেই আরেক প্রলয়ঙ্করি টর্নেডোতে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বাতাসের গতিবেগ ছিল সোমবারের চেয়েও বেশি। তবে এবার ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে বলে ওকলাহোমা হাইওয়ে পুলিশের বেটসি র‌্যান্ডলফ মনে করছেন।
গত রোববারও ওকলাহামার শওনি এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।