আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুবলীগ দরপত্র ছিনিয়ে নিল:



রংপুর মেডিকেলে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ অনিশ্চিত: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্থায়ী ভিত্তিতে ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ নিয়োগে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ জন্য আহ্বান করা দরপত্রে অংশ নেওয়া কয়েকজন ঠিকাদারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে এ অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ঠিকাদার গত বুধবার যুবলীগের তিন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাঁরা হলেন রংপুর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার হোসেন, যুবলীগের কর্মী আশিকুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানী। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে এক বছরের অস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিতে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের জন্য গত ১৭ মে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই দরপত্রে বেসরকারি সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানির ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ভ্যানগার্ড, অর্নার ও ওয়েলফেয়ার এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বাতিল করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান কেরামত আলী সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড, পরাগ এন্টারপ্রাইজ ও ক্যান্ট্রির মধ্যে লটারি হওয়ার কথা ছিল।

ওই দিন কয়েকজন যুবলীগের নেতা-কর্মী হাসপাতালে মহড়া দিয়ে কেরামত আলী সিকিউরিটি সার্ভিসের দুই তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও মোস্তাক আহমেদকে আটক করে দরপত্রের মূল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। এরপর যুবলীগের কর্মীরা হাসপাতালের পরিচালককে বাতিল করা ভ্যানগার্ড সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এ পরিস্থিতিতে পরিচালক দরপত্র-প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। কেরামত আলী সিকিউরিটি সার্ভিসের মালিক আফজাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে মামলা করায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন ও হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টি তিনি কোতোয়ালি থানার ওসিকে জানিয়েছেন।

অভিযুক্ত যুবলীগের নেতা সারওয়ার হোসেন এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন। অভিযুক্ত গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’ হাসপাতালের পরিচালক আনিসুল করিম বলেন, ‘ওই দিন বিশৃঙ্খলার খবর শুনেছি। প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বাতিল করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বৈধ করতে যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী চাপ প্রয়োগ করেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.