আজও নিজের মাঝে অসাধারণতার ছাপ খুঁজে বেড়াই কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে খুব সাধারণরূপে আবিষ্কার করি। মন্দ কি...ভালই তো আছি।
প্রথম সারির বিলাসবহুল প্রাইভেট ভার্সিটির সামনের ফুটপাতে ময়লার স্তূপটিতে দুই হাত দিয়ে অনবরত আছড়ে যাচ্ছে ৪/৫ টি পথশিশু। দৃশ্যটি অনেকক্ষণ ধরেই লক্ষ্য করছে রায়ান। কিছুক্ষণের মধ্যেই বয়স ৫০ উর্ধ এক লোক এসে তাদের সবাইকে চুল ধরে টেনে থাপ্পড় দিতে শুরু করল! চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে সে তাকিয়ে আছে।
আশেপাশের এতগুলো মানুষ বিষয়টা খেয়ালই করছে না!! সে সবে রাস্তা পার হবে তখনই লোকটা কোলাহলে মিলিয়ে গেল। ততক্ষনে উস্কশুষ্ক চেহারার পিচ্ছি ছোকড়াটি ছাড়া বাকি সবাই দৌড়ে পালিয়েছে। রায়ান ধীর গতিতে ছেলেটির দিকে এগিয়ে গেল।
- এই এইদিকে আসো তো
- আমারে ডাকেন বাইয়া?
- হুম তোমাকেই। এই লোকটা তোমাদের মারতেছিল কেন!
- এইডা হেয়-ই বালা জানে।
- কি নাম তোমার?
- স্বপন।
- পড়াশোনা কর তুমি?
- জে বাইয়া। আমি নার্সারিতে পড়ি।
- গুড বয়। এই নাও।
এটা দিয়ে কিছু কিনে খাইয়ো।
- এইডা কত টাহার নোট বাইয়া?
- পঞ্চাশ টাকা
বলেই ছেলেটার মাথায় হাত বুলিয়ে উল্টো পথে হাঁটা ধরে রায়ান। আর পিছু ফিরে তাকায়নি। তাকালে অবশ্য তার ভাললাগা টায় অন্যকিছু গ্রাস করতে পারত! ছেলেটি গিয়েই হয়ত আজ সঙ্গী সাথীদের ডেকে বলবে 'জানস আইজকা সইন্ধ্যাবেলায় একজন ডাইকা নিয়া কোন কামকাজ ছাড়াই পঞ্চাশ টাহা দিয়া দিসে' খুব সম্ববত এটাই হয়ে যাবে আজ তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু…
বিঃদ্রঃ ঘটনাটি আর কোথাও না। আজ সন্ধ্যায় আমাদের ভার্সিটির কাছেই ঘটে যাওয়া!! রায়ান সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজনবোধ করছি না।
কারো মনে বিন্দুমাত্র রেখাপাত করাতে পারলেই ধরে নিব লেখার স্বার্থকতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।