রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই
আসুন আমরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে ধিক্কার জানাই।
ইসরায়েলীরা নিজেদের কি মনে করে? তারা কি চায়? গাজা'র সব মানুষের রক্ত? ওবামা কিছু বলে না কেনো? ইসরায়েলের কর্মকান্ডে কেউ প্রতিবাদ করে না কেনো?
আসুন আমরা সকলে এর প্রতিবাদ জানাই। প্রতিবাদ জানাই এই নারকীয় আর অমানবিক হত্যাযজ্ঞের। শুধু বক্তব্য নয়, গ্রহনযোগ্য প্রতিবাদ ও জানাই। ইহুদীদের বয়কট করি।
নিচের খবরটা পড়ুন।
গত তিন বছর ধরে ইসরায়েল গাজা অবরোধ করে রেখেছে।
ইসরায়েলের বাধার মুখে পড়ার হুমকির মধ্যে রোববার ত্রাণসামগ্রী ও কর্মীদের নিয়ে সাইপ্রাস থেকে গাজা অভিমুখে যাত্রা করে ছয়টি জাহাজ। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় এ ত্রাণের বহর পৌঁছাতে দেবে না বলে ইসরায়েল ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে সোমবার কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের অবরোধ বিরোধীরা ত্রাণ বহর নিরাপদে গাজায় পৌঁছাতে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনপন্থী একটি গ্র"প ও তুরস্কের একটি মানবধিকার সংস্থার উদ্যোগে গাজায় এ ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে জাহাজগুলো। ইসরায়েলের নৌজাহাজের বাধা অতিক্রম করে জাহাজগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে ।
সাইপ্রাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি সমুদ্র বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া এ জাহাজগুলোতে সাতশ'র বেশি যাত্রী ও দশ হাজার টন ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।
সশস্ত্র ইসরায়েল সেনারা রাতের বেলা নৌযানগুলোতে উঠলে প্রায় ৬০০ প্রতিবাদীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটে।
এ ঘটনা ঘটে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যে।
ইসরায়েলী সরকারের একজন মুখপাত্র মার্ক রেগেভ বলেছেন তাদের সৈন্যদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়, এছাড়াও লাঠি ও ছুরি নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়।
তবে উদ্যোক্তা ত্রাণকর্মীরা বলছেন ইসরায়েলী সৈন্যরা গুলিবর্ষণ করতে করতে নৌযানগুলোতে ওঠে।
ত্রাণবহরের ওপর ইসরায়েলী সেনা আক্রমণের নিন্দা করে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেছেন এটা গণহত্যার সামিল।
ফ্রান্স বলেছে নৌবহরের ওপর চড়াও হবার পেছনে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।
তুরস্কের ইস্তানবুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে।
ছয়টি জাহাজের বহু ত্রাণকর্মীই তুরস্কের নাগরিক।
অস্ত্রবাহী জাহাজ হলে একটা কথা ছিলো, ত্রানের জাহাজে এমন হামলা কেনো? এই ত্রানের আশায় ছিলো কত শত শত শিশু, অসহায় মানুষেরা। ইসরায়েলীরা তিলে তিলে মারতে চায় ফিলিস্তানীদের। মুসলমান পরিচয় বাদ দিয়ে শুধু মানুষ হিসেবে ও কি ফিলিস্তানীদের বাচার উপায় নাই?
মানবাধিকার সংস্হা গুলো কই? অ্যামেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কই? জাতিসংঘ কই?
খবর: বিডিনিউজ ও বিবিসি থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।