আমি কাউকে অন্যায় করতে দেখি তখন আমার খুব খারাপ লাগে আমি চেষ্টা করি অন্যায়ের প্রতিবাদ করার
প্রবাসীদের ভালবাসা আর এভারেস্ট বিজয়ীর খাতায় নাম লেখার পর আগামীকাল মুসা ইব্রাহীম দেশে ফিরছেন। কাঠমন্ডু থেকে বাংলাদেশের একটি বিশেষ বিমানে তাকে দেশে আনা হবে। বহুজাতিক কোম্পানি ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ৬ আসনের একটি বিমানে (এক্সিকিউটিভ জেট) তিনি আসবেন। মুসা ইব্রাহীমকে আনতে ইয়ংওয়ানের বিমানটি আগামীকাল দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করবে। মুসা ইব্রাহীমের স্ত্রী সরাবন তহুরা ঐ বিশেষ বিমানে কাঠমন্ডু যাবেন।
বিকালে ঐ বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছবেন। তার সাথে বাংলাদেশে আসছেন এভারেস্ট বিজয়ের যাত্রায় শামিল হওয়া তিন শেরপা (পর্বত আরোহীর সহযোগী), একজন অস্ট্রেলিয়ান ও একজন হাঙ্গেরির পর্বতারোহী। গত ২৭ মে এভারেস্ট থেকে কাঠমন্ডুতে পৌঁছার পর প্রবাসী বাংলাদেশী, পর্যটক ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে মুসা ইব্রাহীমকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় কাঠমন্ডুর এভারেস্ট হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে মুসা ইব্রাহীমকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও বাংলাদেশ থেকে আসা দুইজন সংসদ সদস্য নুরুদ্দিন চৌধুরী শাওন এবং আব্দুলাহ্ আল ইসলাম জ্যাকব অংশ নেন।
প্রবাসী বাংলাদেশি, দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, মুসাকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিকবৃন্দ, নর্থ আলপাইন ক্লাবের সদস্য এবং নেপালের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, মুসার নিষ্ঠা-একাগ্রতা থেকে অন্য তরুণদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মুসা প্রমাণ করেছে, সীমিত সামর্থ্য দিয়েই বাংলাদেশের তরুণরা মেধা ও ইচ্ছাশক্তির জোরে অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম। এছাড়া ৮ হাজার মিটার উঁচুতে উঠতে সক্ষম প্রথম বাংলাদেশী পর্বতারোহী এম এ মুহিতকেও তিনি অভিনন্দন জানান। সংসদ সদস্য নুরুদ্দিন চৌধুরী শাওন এবং আব্দুলাহ্ আল ইসলাম জ্যাকব মুসা ইব্রাহীমকে তারুণ্যের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেন।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে মুসা জয় করে নিয়েছেন দেশের সব মানুষের হৃদয়। মুসার এই অর্জন বাংলাদেশকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার দুঃসাহসী অভিযানের স্মৃতিচারণ করেন। যাত্রা শুরুর মুহূর্তে নিতান্তই হাতে গোনা শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা সম্বল করে এগুলেও আজ বিজয়ের পর দেশের মানুষের উচ্ছ্বাসের ঢেউ তিনি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার ভেতর দেখতে পাচ্ছেন বলে জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব নাসরীন জাহান লিপি।
মুসা ইব্রাহীমকে সম্মানিত করে রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ফুলের তোড়া উপহার দেন। অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে মুসার সাথে রাতের খাবারে অংশ নেন অতিথিবৃন্দ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।