আল্লাহর ভয়ে আমি ভীত নই, তবে উহার বান্দাদের ভয়ে আমি সন্ত্রস্ত।
দুনিয়ায় এতগুলা মুসলিম দেশও যা করেনি, এমনকি কট্টরপন্থী মুসলিম দেশগুলোও যা করেনি তাই করে দেখাল বাংলাদেশ। ফেসবুক বন্ধের মাধ্যমে দেশ ফাকিস্তানাইজেশনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই খবরে অত্যাশ্চার্য্যান্বিত হওয়ার অবশ্য কিছু নাই। বাংলাদেশ এক অর্থে একটি কট্টরপন্থী মুসলিম রাষ্ট্রই।
অবাক হওয়ার বিষয় হল এটা হল এমন এক সরকারের আমলে, যারা কিনা দেশকে ’৭২ এর সংবিধানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা আওড়াচ্ছে। তাদের নির্দেশে বিটিআরসি facebook বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ ফেসবুকের মাধ্যমে সবার ধর্মানুভূতিতে আঘাত লেগেছে। ধার্মিকদেহের এই নাজুকতম অঙ্গটিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে আমি আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করছি
• সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে এ ধরণের ইসলাম বিরোধী প্রচারণা চালান হয়, তাই সকল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বন্ধ করা উচিত।
• এই ধরণের কাজ মূলত ইহুদী-নাসারারা করে, তাই ইহুদী-নাসারাদের সকল সকল সাইট বন্ধ করা উচিত।
• মুরতাদ দ্বারা পরিচালিত সকল সাইটও বন্ধ করা।
• ইহুদী, খ্রীস্টানরা যেহেতু পশ্চিমা তাই সকল ওয়েস্টার্ন ওয়েবসাইট বন্ধ করা।
• ফেসবুক তো প্রধানত ইংরেজি ভাষার, তাই দেশি-বিদেশি নির্বিশেষে সকল ইংরেজি ওয়েবসাইট বন্ধ করা।
সকল প্রকার সিনেমাও নিষিদ্ধ করা উচিত কারণ অনেক পশ্চিমা সিনেমাতেই ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে।
• যে সকল দেশি ব্লগসাইটে ইসলাম বিরোধী কথা লিখা হয়েছে (সামুসহ), তার সবকটি বন্ধ করে দেয়া।
• এত সব ঝামেলায় না গিয়ে ভাল হয় দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থাই বন্ধ করে দেয়া।
• আরও ভাল হয় দেশে কম্পিউটার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
• আমি তো মনে করি দেশে শিক্ষাদানই বন্ধ করে দেয়া উচিত, কারণ পড়াশোনা না জানলে আমাদের আর কখনো ইসলাম বিরোধী কিছু পড়তে হবে না।
ফেসবুক বন্ধ হওয়ায় আমি কিন্তু অতটা দুঃখ পাইনি। কিন্তু তো মাঝে মাঝে ভূলেই যাই যে আমারও একটা ফেসবুক একাউন্ট আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।