পথের সন্ধানে পথে নেমেছি.........
দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ নিয়ন্ত্রন সংস্হা বাংলাদশ টেলিকমিউনিকশিন রেগুলটরি কমউনিকশিনের (বিটিআরসি) গুরুর্ত্বপূর্ণ ৫টি পদে ভারতীয় নাগরিকদের বসানো হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এরকম একটা স্পর্শ কাতর সংস্হা ও স্হাপনায় বিদেশি কোন নাগরিকদের বসানোটা একটা স্বাধীন সার্বভৗম রাষ্ট্রের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর ও নিরাপদ তা বুঝার জন্য খুব জ্ঞানী ও বিষেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না। এরকম নিয়োগের ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব গোপন তথ্য এখন তাদের নখদর্পণে। সরকারী ও বেসরকারী ল্যান্ডফোন, সাবমেরিন কেবল, মোবাইলফোন কোম্পানি ও অপারটে ব্যবস্হা, ইন্টারনেট যোগাযোগ থেকে শুরু করে বাংলাদশরে টেলিকমিনিকেশনের সব ধরনরে যোগাযোগ ব্যবন্হার নিয়ন্ত্রনি সংস্হা হচেছ বিটিআরসি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে ভারতীয় নাগরিকরা সবকিছু নিয়ন্ত্রন করবেন ও করছেন।
রাষ্ট্রীয় সব গোপন তথ্য এখন ভারতীয়দরে হাতরে মুঠোয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সেনাবাহিনীর সিগনাল কোররে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের সরিয়ে বসানো হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের। আইডি কার্ড ইনফরমশনে বিটিআরসিতেই চাকরি দেওয়া হয়েছে ৪ ভারতীয় নাগরিককে। বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্হা হচেছ এটি। সরকারী ও বেসরকারী টেলিযোগাযোগ মোবাইল ফোন কোম্পানি ও অপারটের ব্যবস্হা, সাবমেরিন কেবল লাইন, ইন্টারনেটে যোগাযোগ, ই-মেইলে যোগাযোগ থেকে শুরু করে সব ধরনরে তথ্য-যোগাযোগ ব্যবন্হার গেটওয়ের নিয়ন্ত্রনীকারী সংস্হা হচেছ বিটিআরসি।
বেসরকারী টেলিভিশনের সম্প্রচারের ফ্রিকোয়েন্সী বরাদ্দ দেওয়ার এখতিয়ারীও হচেছ বিটিআরসির। যে কোনো মোবাইলরে কথোপকথন, সরকার-বেসরকারী কোম্পানী গুলোর ল্যান্ড ফোনের কথোপকথন, ইন্টারনেট ও ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান সবকিছুই বিটিআরসি রেকর্ড করতে পারে। এটা শুধু চাইলেই নয় এখতিয়ারও রয়েছে সংস্হাটির। সাবমেরিন কেবলের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে বিশ্বের সঙ্গে ইন্টারনেটে যোগাযোগ বিচিছন্ন করে দেওয়ার সুযোগও রয়েছে। দূতাবাসগুলো থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেসব বার্তা আসে এর সবকিছুই নিয়ন্ত্রন করতে পারে বিটিআরসি।
বিটিআরসির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে এসব বার্তা সহজেই জানা যায় ও সংগ্রহ করা যায়। টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগের মাধ্যমে কথোপকথন থেকে শুরু করে যা ঘটে বিটিআরসির কাছে কোনো কিছুই গোপন থাকে না। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে যে কেউ রাষ্ট্রীয় সব গোপন তথ্য যে কোন সময় যে কোন জায়গায় সহজেই সংগ্রহ ও পাচার করতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে তাদের সব গোপন তথ্য সবসময় জানার সুযোগও রয়েছে। তারা যখন যা চাইবন,তা-ই জানতে ও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাইবার ক্রাইম ও সাইবার টেরিজম নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বও হচেছ বিটিআরসির। ই-মইলের বা টেলিফোনের মাধ্যমে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও খুঁজে বের করা যায় বিটিআরসির মাধ্যমে। এ ধরনরে সংস্হার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাইবার টেরিজম এবং সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রন করা হচেছ।
এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে যে কোন বিদেশী নাগরকদের চাকরি দেওয়াটা কতটুক যুক্তিযুক্ত ও সাংবিধানিক আমার মত এত ক্ষুদ্র মস্তিস্কের মানুষদের মাথায় ঢুকেনা। এর মধ্যে কোন গুঢ় রহস্য আছে কিনা তাও জানিনা।
তবে সন্দেহটা ক্রমেই গাঢ় হচেছ - দেশের নিয়ন্ত্রন কি তাহলে আস্তে আস্তে বিশেষ কারও অনুকূলে যাচেছ? এখানে সাধারন জনগন হিসাবে আমাদের কি কিছুই করণীয় নাই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।