আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রাজিলের সেরা ১০

বাঙালিত্ব

Click This Link সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ শিরোপা ব্রাজিলের। এবারের বিশ্বকাপেও যাচ্ছে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে। হুলিও সিজার, মাইকনের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন কাকা-রবিনহোর মতো তারকারা। পেলে থেকে জিকো, রোমারিও থেকে রোনালদো_কিংবদন্তিদের কোনো কমতি কখনোই ছিল না ব্রাজিলের। বিশ্বকাপ সাফল্যও ঈর্ষণীয় সবার।

তাই এসে যাচ্ছে প্রশ্নটা, বিশ্বকাপে খেলা সর্বকালের সেরা ১০ ব্রাজিলিয়ান কারা? তা নিয়েই দুই পর্বের এই আয়োজন। আজ ছাপা হলো দ্বিতীয় পর্ব_ ৫. রোমারিও : পেলে ও পুসকাসের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ২০০৭ সালে ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন রোমারিও। ফিফা অভিনন্দন জানালেও তাদের রেকর্ডে গোলের হিসাবটা ৯২৯। জুনিয়র দল ও প্রীতি ম্যাচের গোলগুলো বাদ দিয়েছে তারা। তাতেও রোমারিওর মর্যাদা কমছে না।

সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবেই মানা হয় ব্রাজিলের হয়ে ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল করা এই কিংবদন্তিকে। ফুটবলকে বদলে দেওয়া ইয়োহান ক্রুইফ তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, 'বিপক্ষের ডি বক্সে সে বোধ হয় সবচেয়ে ভয়ংকর। ' ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ব্রাজিলকে এককথায় 'বিরক্তিকর' বলত সবাই। তবে রোমারিওর পায়ে সাম্বার ছন্দ ছিল ঠিকই। ৫ গোল করে ২৪ বছর পর ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন তিনিই।

সেই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জেতার পাশাপাশি পেয়েছিলেন ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কারও। তবে চোটের কারণে ১৯৯৮ আর স্কোলারির অপছন্দের জন্য খেলতে পারেননি ২০০২ বিশ্বকাপ। জড়িয়েছেন কিছু বিতর্কেও। তা বিতর্ক তো ম্যারাডোনারও নিত্য সঙ্গী। তাতে কি আর কিংবদন্তির মর্যাদা কমে? ৪. জিকো : সাদা পেলে নামে সবাই ডাকে তাঁকে।

খোদ পেলেই জিকো সম্পর্কে বলেছিলেন, 'আমার কাছাকাছি যে খেলোয়াড়টি আসতে পেরেছিল সে জিকো। ' অথচ দুর্ভাগ্য জিকোর, '৮০-র দশকে ঝড় তুললেও বিশ্বকাপ জিততে পারেননি কখনো। পুসকাস, ক্রুইফের কথা মাথায় রেখেও বিশ্বকাপ জিততে না পারা সবচেয়ে 'দুর্ভাগা কিংবদন্তি' হিসেবে অনেকে নাম নেন জিকোরই। শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে ১৯৭৮, ১৯৮২ আর ১৯৮৬ বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে। অথচ ১৯৮২ সালের ব্রাজিলিয়ান দলটাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসেবেই মানে অনেকে।

মিডফিল্ডার হয়েও ৭২ ম্যাচে গোল করেছেন ৫২টি। ড্রিবলিংয়ে মুগ্ধ করার পাশাপাশি ফিনিশিংয়ে চোখ চড়কগাছ করে দিতেন গোলরক্ষকদের। শটে যেমন থাকত গতি, তেমনি নিশানাও ছিল নিখুঁত। ছিলেন ফ্রি-কিক বিশেষজ্ঞও। এমন একজন ফুটবলারের বিশ্বকাপ না জেতাটাই 'ট্র্যাজেডি'।

৩. রোনালদো : ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ভুলে যান। আসল রোনালদো হচ্ছেন ব্রাজিলের রোনালদো লুই নাজারিও দি লিমা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫ গোলের রেকর্ড যাঁর দখলে। গত বিশ্বকাপে ব্রাজিল ফিরেছিল শূন্য হাতে, কিন্তু রোনালদো ফেরেন জার্ড মুলারের ১৪ গোলের রেকর্ড ভাঙার কীর্তি নিয়ে। জিতেছেন দু-দুটি বিশ্বকাপ।

পেয়েছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল, ২০০২ আসরের গোল্ডেন বুট। জিদানের মতো জিতেছেন রেকর্ড তিন-তিনবারের ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারও। জাতীয় দলের হয়ে ৯৭ ম্যাচে ৬২ গোল করা রোনালদো সফল ক্লাব ফুটবলেও। পিএসভিতে ৪৬ ম্যাচে ৪২ গোল, বার্সেলোনায় এক মৌসুমে ৪৭ গোল, ইন্টার মিলানে ৬৮ ম্যাচে ৪৯ আর রিয়াল মাদ্রিদে ১২৭ ম্যাচে করেছেন ৮৩ গোল। বেশি মুটিয়ে না গেলে কে জানে এবারও হয়তো দেখা যেত এই কিংবদন্তিকে! ২. গারিঞ্চা : পেলের পর ব্রাজিলের সেরা ফুটবলার গারিঞ্চা_স্বীকৃতি দিয়েছে খোদ ফিফাই।

অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞের আবার 'পরে' শব্দটিতেও আপত্তি। তাদের মতে, অন্তত পেলের সমান মর্যাদা পাওয়া উচিত গারিঞ্চার। ফুটবল ইতিহাসে তাঁর চেয়ে ভালো ড্রিবলারের খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। মেটারবাইকওয়ালা যেভাবে সাইকেল আরোহীকে হেলায় পেরিয়ে যায়, অনেকটা সেভাবেই ডিফেন্ডারদের কাটাতেন তিনি। যে কারণে তাঁর খেলা ৫০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছিল ব্রাজিল।

১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়কও ছিলেন বাঁকা পায়ের এই ফরোয়ার্ড। ১. পেলে : ব্রাজিলের তো বটেই ফুটবলেরই সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় পেলে। কেউ কেউ বলেন আবার বিংশ শতাব্দীর সেরা অ্যাথলেট। একসময় চায়ের দোকানে কাজ করা পেলের উত্থান হার মানায় রূপকথার কল্পকাহিনীকেও। ১৯৩৪ বিশ্বকাপে স্পেনের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করা ব্রাজিলিয়ান সাবেক স্ট্রাইকার ওয়ালদেমার দা বিরতো ১৯৫৬ সালে ১৫ বছরের পেলেকে স্যান্টোসে এনে বলেছিলেন, 'এই নাও, সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে দিয়ে গেলাম।

' ওয়ালদেমারের ভবিষ্যদ্বাণীর যথার্থতা প্রমাণ করেছেন পেলে। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ, গোলও করেছেন এক হাজারের বেশি। জাতীয় দলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭ আর স্যান্টোসের হয়ে তো ম্যাচের চেয়ে গোলই বেশি (৪৩৮ ম্যাচে ৪৭৪ গোল)। এমন এক কিংবদন্তিকে সর্বকালের সেরা না বলে উপায় নেই

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।