বাঙালিত্ব
ব্রাজিলের সেরা ১০
সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ শিরোপা ব্রাজিলের। এবারের বিশ্বকাপেও যাচ্ছে র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে। হুলিও সিজার, মাইকনের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন কাকা-রবিনহোর মতো তারকারা। পেলে থেকে জিকো, রোমারিও থেকে রোনালদো_কিংবদন্তিদের কোনো কমতি কখনোই ছিল না ব্রাজিলের। বিশ্বকাপ সাফল্যও ঈর্ষণীয় সবার।
তাই এসে যাচ্ছে প্রশ্নটা, বিশ্বকাপে খেলা সর্বকালের সেরা ১০ ব্রাজিলিয়ান কারা? তা নিয়েই দুই পর্বের এই আয়োজন। আজ ছাপা হলো প্রথম পর্ব_
১০. কাকা : ফুটবলের পাশাপাশি খেলতেন টেনিসও। ১৫ বছর বয়সে সাও পাওলো চুক্তি করায় পাকাপাকিভাবে ফুটবলই বেছে নেন কাকা। ভাগ্যিস পিট সাম্প্রাস, আন্দ্রে আগাসিদের মতো হতে চাননি, নইলে সৃষ্টিশীল এই প্লে-মেকারকে হারাত ফুটবলবিশ্ব! ২৮ বছর বয়সী এই তারকা জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরা আর ব্যালন ডি-অরের পুরস্কার। ব্রাজিলের হয়ে জিতেছেন ২০০২ বিশ্বকাপ আর কনফেডারেশনস কাপের দুটি শিরোপা।
৭৩ ম্যাচে আছে ২৬ গোলও। এসি মিলানের হয়ে ১৯৩ ম্যাচে ৭০ গোল করা কাকাকে ট্রান্সফার ফি-র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিশ্বরেকর্ড ৬৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে গত মৌসুমে কিনেছে রিয়াল মাদ্রিদ। চোট আর অফফর্মের কারণে রিয়ালে প্রথম মৌসুমটা ভালো কাটেনি তেমন। তার পরও এবারের বিশ্বকাপে তারকাহীন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা তিনিই। চাপটা কাটিয়ে আলো ছড়াতে পারবেন তো কাকা?
৯. ফ্যালকাও : ১৯৫৮ থেকে ১৯৭০_ব্রাজিলের 'স্বর্ণযুগ' বলা হয় এই ১২ বছরকে।
পাওলো রবার্তো ফ্যালকাওয়ের দুর্ভাগ্য তিনি খেলেছিলেন ১৯৮২ আর ১৯৮৬ বিশ্বকাপে। যে কারণে ব্রাজিলের বাইরে খুব বেশি মানুষ সেভাবে চেনেন না এই মিডফিল্ডারকে। যারা জানেন তারা সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবেও মানেন ছয় ফুট উচ্চতার ফ্যালকাওকে। বিখ্যাত ছিলেন 'চোরা গতির' দৌড়ের জন্য। হঠাৎ স্প্রিন্টারদের মতো গতি তুলে তছনছ করে দিতেন বিপক্ষের ডিফেন্স।
ইতালিয়ান ক্লাব রোমার সমর্থকরা তো আর এমনি এমনিই 'রোমের অষ্টম সম্রাট' বলে ডাকে না ফ্যালকাওকে। ব্রাজিলের হয়ে ৩৪ ম্যাচ খেলা ফ্যালকাও ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমায়।
৮. জিজিনহো : ১৯৫০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে শিরোপা জয়ের শেষ ধাপে নিয়ে যাওয়ার নায়ক জিজিনহো সম্পর্কে পেলে বলেছেন, 'তিনি একজন সম্পূর্ণ ফুটবলার। তিনি খেলতেন মিডফিল্ডে, ফরোয়ার্ড পজিশনে, উইঙ্গে। হেড করতে পারতেন, ক্রস ফেলতেন, এমনকি সুযোগ পেলে করতেন গোলও।
' ৫৩ ম্যাচে ৩০ গোল করা বহুমুখী এই ফুটবলারকে ১৯৫৪ ও ১৯৫৮ বিশ্বকাপ খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। সেই আমন্ত্রণ দুবারই প্রত্যাখ্যান করে জিজিনহো বলেছিলেন, 'দরকারই যদি হবে তাহলে শুরু থেকে না ডেকে শেষ মুহূর্তে আমাকে ডাকা কেন? অন্য কোনো ফুটবলারের স্বপ্ন ভেঙে বিশ্বকাপ খেলতে পারি না আমি। ' তবে একটি মাত্র বিশ্বকাপ খেললেও বিংশ শতাব্দীর 'চতুর্থ ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির' স্বীকৃতি খোদ ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনই দিয়েছে জিজিনহোকে।
৭. রিভালদো : উজবেকিস্তানের ক্লাব ফুটবলে খেলা একজন ফুটবলার ব্রাজিলের সেরা দশে আসে কিভাবে? হ্যাঁ আসে, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হয়ে আক্রমণ গড়ার পাশাপাশি লক্ষ্যভেদ ক্ষমতাটাও অসাধারণ ছিল রিভালদোর। এমনি এমনি তো আর ১৯৯৯ সালে ফিফা ও উয়েফার বর্ষসেরা নির্বাচিত হননি ব্রাজিলের হয়ে ৭৪ ম্যাচে ৩৪ গোল করা রিভালদো।
২০০২ বিশ্বকাপে ৫ গোল করে শিরোপা জিতিয়েছিলেন ব্রাজিলকে। জিতেছেন কোপা আমেরিকা ও কনফেডারেশনস কাপের শিরোপাও। আর ১৯৯৭ থেকে ২০০২ পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে ১৫৭ ম্যাচে ৮৬ গোল করার অসাধারণ কীর্তিটা তো আছেই।
৬. রিভেলিনো : ফুটবলের বিখ্যাত একটা মুভের নাম 'ফ্লিপ ফ্লপ'। ম্যারাডোনার পর রোনালদিনহো, ইব্রাহিমোভিচ ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের প্রায় দেখা যায় এই মুভ করতে।
যার আবিষ্কারক রবার্তো রিভেলিনো। বিখ্যাত ছিল তাঁর লং পাস, দূরপাল্লার ফ্রি-কিক আর বল নিয়ন্ত্রণের দক্ষতাও। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ৩ গোল করা এই প্লেমেকারের চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে গোলটার স্বীকৃতি 'বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির' গোলের। রিভেলিনোর শটে এত জোর ছিল যে, চেকোস্লোভাকিয়ার গোলরক্ষক হাঁটু থেকে হাত সরনোর আগেই বল পেঁৗছে গিয়েছিল জালে। ৯২ ম্যাচে রিভেলিনোর গোল ২৬টা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।