মালয়েশিয়ার ইপোহতে কাল শুরু হওয়া এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অভিযান আজ থেকে। প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশীয় পরাশক্তি। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামীকাল, প্রতিপক্ষ ওমান। ২৮ আগস্ট গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিমি-চয়নরা মুখোমুখি হবে ভারতের।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার বিপক্ষে জিমি-চয়নরা বাস্তববাদী, জয়ের স্বপ্ন দেখেন না।
তবে সহজে হারও তাঁরা মানতে চাইবেন না। বিদেশি দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার আক্ষেপ নিয়েই নবম এশিয়া কাপে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। তবে মালয়েশিয়ায় গিয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলায় সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও ঘুচে যাওয়ার কথা। প্রথমে পাকিস্তান, পরে চীনা তাইপে—পর পর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ ও এশিয়ান গেমস মিলিয়ে আটবার কোরিয়ার মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কখনোই জেতেনি।
সবচেয়ে ভালো ফল ’৯৩-এর হিরোশিমা এশিয়া কাপে, ১-১ ড্র। আর সব ম্যাচেই পরাজয়, ব্যবধানও বড়। ১৯৮৯ দিল্লি এশিয়া কাপে হার ৭-০ গোলে। ১৯৯৯ কুয়ালালামপুরে ৪-০। ২০০৭ চেন্নাইয়ে ৮-০।
২০০৯ কুয়ানতানে ৯-০। ১৯৯৪ হিরোশিমা এশিয়ান গেমসে হার ১০-০ গোলে। ১৯৯৮ ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে ১৪-০। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় বাংলাদেশের জন্য কোরিয়া কত বড় দল।
কোরিয়ার শক্তিমত্তা কোচ নাভিদ আলমের কাছে অজানা নয়।
তবু হারের আগেই হারতে চান না পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া সাবেক খেলোয়াড়। কাল মালয়েশিয়া থেকে টেলিফোনে বললেন, ‘কোরিয়া শক্তিশালী দল। তবে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আমাদের সেরাটা খেলারই চেষ্টা করব। প্রথমে রক্ষণভাগ ঠিক রেখে পাল্টা-আক্রমণে যাব আমরা।
চীনা তাইপের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচের জয়টা ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। সবাই ফুরফুরে মেজাজে আছে। আশা করছি, ভালো একটা ম্যাচই হবে। ’
চীনা তাইপের সঙ্গে পরশুর প্রস্তুতি ম্যাচে ৭০ মিনিট খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ইপোহর মাঠে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর আর খেলতে দেয়নি আয়োজকেরা।
ম্যাচটা তাই ছিল ৫৫ মিনিটের। একটু ঘাটতি কি থেকে গেল না? বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুর রহমান চয়ন অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। ফেসবুকে কাল জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের শতভাগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কোরিয়া বড় দল হলেও কোনো চাপ নিচ্ছি না। আশা করি, আমরা ইতিবাচক খেলব।
’
বাংলাদেশের জন্য একটা সুসংবাদ—কোরিয়া তাদের সেরা প্লে-মেকার হং ইউন-সিউংকে পাচ্ছে না পুরো এশিয়া কাপেই। অনুশীলনের সময় ভেঙে গেছে তাঁর হাতের আঙুল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।