ভালোবাসার কাছে আমি এক পরাজিত সৈনিক...!!
প্রথম দিন টা খুব বাজে ভাবে গেলো ২০১৩ সালের। এটা কখনো আশা করিনি, কিন্তু তাই হয়ে গেলো...
কেউ একজনকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও সেদিন খুব কষ্ট দিলাম, আসলে আমি নিজে ও চাইনি এমন টা হোক।
কিন্তু কিভাবে যেন হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না। ব্যাপারটা আমি যত সহজ ভেবেছিলাম, সে তত সহজভাবে নেয়নি। এটা নিতান্তই আমার ভাবনার ব্যার্থতা ছাড়া কিছুই না।
রাত ১১ টা সিমি অনলাইনে আসল। আমি তাকে একটু আগে ভাগেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালাম।
সিমি বলল ঠিক রাত ১২ টায় আমকে সে উইশ করবে। রাত ১২ টা সে অনলাইনে এসে আমক উইশ করল আমি তখনও অফিসে কাজ করছি!!
কিছুক্ষন কথা বলার পর সিমি চলে গেলো আর বলল রাতে যেন ফোন না করি। আমি তখনও তেমন কিছুই ভাবিনি।
রাতে বাসায় ফিরলাম, ফোন দিলাম কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি। মেসেজ পাঠালাম রিপ্লাই দেয়নি।
অনেকক্ষণ চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুই হল না, ওই মেসেজ এর উইশ পর্যন্তই আমাদের থাকতে হল।
সকালে আমি ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেলো আর উঠেই অফিসে দৌড় দিলাম। সকাল ১১ টায় সিমি অনলাইনে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল ফোন কেন করলাম না?
বললাম ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে তাই ফোন করতে পারিনি।
নতুন বছরের প্রথম বেলা থেকে একের পর এক বিষাদ প্রশ্ন আসতে থাকে, আমিও বেশ মুচড়ে যাই।
অবশেষে সন্ধ্যার পর সিমি অনলাইনে এসে আমাকে যথেষ্ট বকাঝকা করে অনেক কান্নাকাটি করে চলে গেলো।
যাওয়ার আগে আমাকে বলে গেলো আর কোন দিন সে অনলাইনে আসবে না।
ওই দিনই নাকি শেষ দিন অনলাইনে আসা। কিন্তু আমার সমস্যা সে বুঝেনি অথবা তার একরোখা ভালোবাসাকে আমি আমার কাজের সাথে গুলিয়ে ফেলেছি।
আর বুঝলে ও বা কি হতো।
সিমি তো আশা করে তার প্রিয় মানুষটা এমন একটা দিনে ফোন দিবে একটু নিজেদের মধ্যে সুখ দুঃখ শেয়ার করবে কিন্তু হল না। আর তাই দুঃখ ভরা মন নিয়ে ওই একটা দিন তাকে পার করতে হল।
আর আমি নির্বোধ এর মত সারাটা দিন অফিসে কাটিয়ে দিলাম আর মনের মাঝে শত কষ্টের বেদনা গুলো নীল হয়ে যাচ্ছিল।
ইচ্ছে করছিল সব কিছু ছেরে দিয়ে ওই মানুষ তার কাছে ছুটে যাই।
মনের সমস্ত ভালবাসার জমানো কথা গুলো প্রিয় মানুষ টাকে বলি।
কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না আমরা ও যে কঠিন বাস্তবের সাথে যুদ্ধ করছি সেটাও তো মাথায় রাখতে হবে।
আসলে আমাদের জীবনে প্রেমটা আনেক্সপীক্টেড এরর...!!
মাঝে মাঝে প্রেম টা মনে হয় খুব দ্রুত গতি ধারন করে আবার মাঝে মাঝে থমকে থমকে দাড়ায়।
মনে হই এই বুজি সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।
কষ্ট পাওয়ার হিসাবটা দুজনে সমানে সমানে।
কিন্তু কে বুঝে কার মনের ভিতরে ঢুকে। সিমি কতটা জানে নতুন বছরের সূর্য্যটা আমার কাছে উঠেনে, ডুবে আছে।
আমার আকাশ সমান সে নিজেকে কি দেখতে পেয়েছে আমার বিস্তীর্ন আয়নায়।
বিঃদ্রঃ আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কাসাফাদ্দৌজা নোমান ভাইকে যিনি আমার জীবনের প্রথম এই ছোট গল্পের পেছনে উনার
অসাধারণ সাহায্যের জন্য...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।