আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুরুতেই বাংলাদেশের ‘ফাইনাল’!

বিকেলে নেপালের ফুটবলাররা কিছুক্ষণ দশরথ স্টেডিয়ামে হালকা অনুশীলন করলেন। এই মাঠ তাঁদের হাতের তালুর মতো চেনা। তবু শেষ বেলায় সবকিছু পরখ করে নেওয়া আর কি! এটা শুনে বাংলাদেশ দল তো রেগে আগুন। ম্যাচ শুরুর আগে প্রতিপক্ষকেও মূল ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ যে দিল না স্বাগতিক নেপাল!যতটা সুযোগ নেওয়া যায়, নেবেই নেপাল। আজ যে অগ্নিপরীক্ষার এক ম্যাচ।

অষ্টম সাফ ফুটবল শুরুর দিনই বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় মরণপণ লড়াইয়ে নামছে দুই দল। দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ। একটা সময় বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ প্রিভিউ লেখা ছিল খুবই সহজ। বাংলাদেশকে ফেবারিট ধরে বিশ্লেষণ চলত, নেপাল আসলে কয় গোলে হারবে? কিন্তু সেই দিন আর নেই। যদিও সর্বশেষ গত মার্চেই এই দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের আছে আনন্দের স্মৃতি।

এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে নেপালের ২০ হাজার দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম সেদিন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ২-০ জয়ে। কিন্তু ছয় মাস পর আরেকটি লড়াইয়ে মঞ্চটা পুরোপুরি ভিন্ন। বাংলাদেশের জন্য যেটি কিনা এবারের সাফে টিকে থাকার অঘোষিত লড়াই!কথাটা ঢাকায় বসে সেদিন বলছিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। নেপাল ম্যাচটা জয় দিয়ে পেরিয়ে গেলে সেমির দরজায় টোকা মারতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু হারলেই পরের ম্যাচে ভারত, তারপর পাকিস্তান।

সামনের কঠিন সময়ের জন্য তাই লাল-সবুজের পালে আজই হাওয়া লাগাতে পারে নেপালের বিপক্ষে জয়। কিন্তু জিতবে তো বাংলাদেশ? ম্যাচ শেষেই মিলবে উত্তর। তবে শুধু তো নেপাল নয়, আজ বাংলাদেশকে খেলতে হবে স্থানীয় ২০ হাজার দর্শকে ঠাসা গ্যালারির বিপক্ষেও। এটাই নেপালের সবচেয়ে বড় সুবিধা। আগেরবার তা কাজে লাগাতে না পারলেও এবার মরিয়া নেপাল।

বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ তো বারবার ‘নেপালের দর্শকদের বিপক্ষেও খেলতে হবে’ বলেই যাচ্ছেন। কালও সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে নেপালের সাংবাদিকেরা তাঁর মুখ থেকে বের করলেন অনেক কথা। ডি ক্রুইফের সরল স্বীকারোক্তি, ‘ঘরের মাঠে খেলছে বলে নেপালই এই ম্যাচে ফেবারিট। ’ সংবাদ সম্মেলন থেকে যাওয়ার পর অবশ্য বাংলাদেশি সাংবাদিকদের দেখে দাঁড়ালেন ডাচ কোচ। ‘ভরসা রাখো, আমরা জিতব, আশা করি’ ছোট্ট এই বাক্য বলে আশার ঘরেই বসত গড়তে চাইলেন।

এই প্রথম বাংলাদেশের ফুটবলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে আসার একটা সুবিধা তো আছেই। তার ওপর দুই দেশের ১৮টি সাক্ষাতে নেপালের ২ ড্র আর ৫ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে ১১ ম্যাচেই। অতীত তাই কথা বলছে লাল-সবুজের হয়ে। বাংলাদেশ দলের ভয়ের কী আছে!।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।