আজকের দিনে যত কিছু দৃষ্টিনন্দন, চমৎকার, অপূর্ব পরিবেশনা দেখি তার অনেকটা প্রযুক্তির অবদান। কিন্তু এর নেপথ্যে এগুলো পরিচালনার যে কারিগরবৃন্দ থাকেন তাদের অন্যতম হলেন, ক্যামেরাম্যান। আমরা আগে যেসব ছবি দেখেছি- তার অনেক গুলো থাকতো সেরা। কারন বেশী সিনেমা/ছবি দেখা যেত না। ঘন ঘন ছবি দেখা, হলে যাওয়া হতো না।
ফলে, বাছাই ছবিগুলো দেখা হতো। নাম করা দেখা ছবির কিছু আকাশ আর মাটি, সূর্যস্নান, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, তিতাস একটি নদীর নাম, ফির মিলেংগে হাম দোনো, সোয়ে নদীয়া জাগে পানি, নীল আকাশের নীচে, ক খ গ ঘ ঙ, নয়নের আলো। এসব সিনেমার চিত্রগ্রাহক ছিলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র ক্যামেরাম্যান বেবী ইসলাম (৭৯)। তিনি এই ২৪ তারিখ রাতে ক্যান্সারে মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
গতকাল বিকেলে শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয়েছিল। তিনি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের চিত্রগ্রাহক ছিলেন। তার স্ত্রী তন্দ্রা ইসলামও একজন সুঅভিনেত্রী। ইটালীতে চলচ্চিত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেবী কলকাতায় কাজ শুরু করেন। সেখানে অজয় করের ২০টি ও মুম্বাইর কিছু ছবিতে কাজ করেন।
১৯৫৬ তে ঢাকা এসে সরকারী কাজে যোগ দেন। '৫৯ সালে তিনি পরিচালনা করেন 'তানহা'। স্বাধীনতার পরে তৈরী করেন 'চরিত্রহীন'। তাঁর কাজের স্বীকৃটিস্বরূপ দেশে-বিদেশে তিনি পুরস্কার পেয়েছেন, সমাদৃত হয়েছেন। সুস্হধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ, পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য তার খুব সুনাম ছিল।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্র্কাশ করেছেন। তার বেশীর ছবি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তার আত্মার মাগফেরাত আন্তরিকভাবে কামনা করি। দেশে-বিদেশে তার যে আত্মীয়-স্বজন রয়েছে তাদের জন্য গভীর সমবেদনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।