আতাউর রহমান কাবুল
আতাউর রহমান কাবুল
প্রচন্ড কাজের চাপ, অশান্তি, মানসিক অস্থিরতা কিংবা স্ট্রেস যা-ই বলিনা কেন, এই সমস্যা প্রত্যেক মানুষের জীবনে বর্তমান। স্ট্রেস নেই এমন মানুষ এখনকার দিনে হয়তো পাওয়া দুষ্কর। এর প্রভাব ধীরে ধীরে আমাদের মন আর মস্তিষ্কের ওপরে পড়তে থাকে। এর ফলে শরীর এবং মন উভয়েেত্র পজেটিভ এবং নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। তবে পজেটিভ প্রভাব আমাদের কিছু করে দেখাতে উ™^ুদ্ধ করে তোলে আর নেগেটিভ প্রভাব সবদিক থেকে তি করে থাকে।
তাই স্ট্রেস কম করা একান্ত প্রয়োজন।
তবে কীভাবে আপনি আপনার স্ট্রেস থেকে নিজেকে দুরে রাখতে পারবেন তার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :
ভালো করে খাওয়া-দাওয়া করুন
আমাদের ধারণা আছে অ্যালকোহল পান করলে বা বেশি পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া করলে স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস স্ট্রেস কমানোর বদলে বাড়িয়ে তোলে। তাই স্ট্রেস বেশি হলে পরিমাণ মতো খাবার খান। তবে খুব বেশি খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
না বলতে শিখুন
আপনি মনে রাখুন অপরের ইচ্ছা পহৃর্ণ করা বা অন্যের অপো করাই একমাত্র কাজ নয়। আপনার মনের মতো বিষয় বা বক্তব্য না হলে সেই প্রসঙ্গে না বলার অধিকার আপনার আছে। অন্যদের ইচ্ছাপহৃরণ করার থেকে নিজের ইচ্ছা অনুসারে চলুন। নিজের ইচ্ছাকে গুরত্ব দিন। আপনারও নিজস্ট^ কিছু ইচ্ছা আছে এবং তা পহৃরণ করতে সে অনুসারে জীবনধারণ করার চেদ্বা করুন।
নিজের অধিকার সম্পর্কে সজাগ থাকুন।
খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করুন
স্ট্রেস ফিদ্ধ হতে গিয়ে খুব বেশি চা বা কফি পান বা সিগারেট খাওয়ার মতো বদ অভ্যাসে অভ্যস্থ হবেন না। এর মধ্যে যে নিকোটিন থাকে তা স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
খুব কঠিন নয় এমন কিছু ব্যায়াম দৈনিক রহৃপে চর্চা করুন। যোগ ব্যায়াম বা অ্যারোবিক্সের চর্চার ফলে শরীর থেকে এন্ডোফিন নির্গত হয়, যা স্ট্রেস কম করে এবং পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা জাগিয়ে তোলে।
নিয়মিত পড়াশোনা করুন
নিজেকে রিল্যাক্স রাখুন। রিল্যাক্সেশনের বিভিল্পু প্রকিদ্ধয়া জেনে নিন। অবসর সময় নদ্ব না করে বিভিল্পু বিষয়ে জ্ঞান বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পড়াশোনার চর্চা করা শুরু করুন। যোগব্যায়ামও করতে পারেন।
স্ট্রেসের কারণ কম করার চেদ্বা করুন
প্রত্যেক ব্যক্তি মনে করেন জীবনে চাহিদার কোনো শেষ নেই।
আর সব চাহিদা পহৃরণ করার জন্য এই জীবনকাল যথেদ্ব নয়। টাইম ম্যানেজমেন্ট শেখায় কীভাবে কম সময়ের মধ্যে আপনার সব প্রয়োজনীয় কাজ আপনি শেষ করতে সম হবেন। আপনার মুখ্য কাজ কি, নিয়মানুবর্তিতার ™^ারা কীভাবে সব কাজ সম্পল্পু করা যায় তা মেনে কাজ করে দেখুন, সব কাজ সম্পল্পু করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি আপনার পরিবার এবং নিজের জন্যও অতিরিক্ত সময় পেয়ে যাবেন।
আপনার গুরত্ব উপলব্ধি করুন
আপনার কাজ আপনার চিন্তাধারা বা বিচারবুদ্ধির বাস্তব রহৃপ তুলে ধরে। আপনি কতটা ব্যস্ত তা কারও কাছে খুব বেশি গুরত্বপহৃর্ণ কোনো ব্যাপার নয়।
তাই আপনার গুরত্ব এবং মতা অনুযায়ী কাজ করুন। নিজেকে সবার কাছে গুরত্বপহৃর্ণ করে তুলুন। আপনি নিজেকে গুরত্ব দিলে তবেই অন্যরা আপনাকে গুরুÍ^ দেবে।
নিজের ল্য স্থির করুন
যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবুও মনে রাখবেন একশভাগ শতাংশ সফলতা কেউ পায় না। ল্য ঠিক রেখে সঠিক চিন্তা-ভাবনা অনুসারে নিজের কাজ করে যান।
নিজের জন্য কাজ করুন
আপনার যখনই মনে হবে আপনার ওপরে খুব বেশি কাজের চাপ পড়ছে তখন ভেবে দেখুন কি করলে আপনার ভালো লাগবে। যা করতে আপনার ভালো লাগছে তাই করুন। তবু টেনশন করবেন না।
http://www.arkabul.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।