শিক্ষাই হল জাতি
গৌতম রায় হত্যাকারী নিয়ে পুলিশ ও র্যাবের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসানে আইন-প্রয়োগকারী দুটি সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে রোববার পুলিশপ্রধান নূর মোহাম্মদের কার্যালয়ে বৈঠক করেন র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আর যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সে জন্য র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশকে একসঙ্গে বসে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গৌতম হত্যাকারী সন্দেহে আলাদা আলাদা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব দুই সংস্থাই দাবি করে আসছে, তাদের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরাই গৌতমের হত্যাকারী। বাহঃ বাহঃ সাবাস প্রসাশন।
পুলিশপ্রধান বলেন, "দুটি সংস্থা আলাদা হওয়ায় সবাই নিজ নিজ অবস্থানে অটল। এছাড়া কৃতিত্ব নিতে অপরাধী ধরার দাবি করা হয়। ফলে মাঝে মধ্যে এদরনের ঘটনা ঘটে।
চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে গৌতম হত্যা মামলাটি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলে রয়েছে জানিয়ে নূর মোহাম্মদ বলেন, সেখানেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠকে নূর মোহাম্মদ ছাড়াও ছিলেন র্যাবপ্রধান হাসান মাহমুদ খোন্দকার, র্যাব-১০ এর পরিচালক এসএম কামাল হোসেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান সৈয়দ শাহ জামাল রাজ, ঢাকা মহানগর পুলিশপ্রধান এসএম শহীদুল হক, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাহবুবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গৌতম হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবিদার মনা মিয়াকেও বৈঠকে আনা হয়। তার পরও শুরাহা করতে পারলোনা জনগনের নিরাপত্তা নামধারী নিরাপত্তা বাহিনী।
গত ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে বংশাল থানার উপপরিদর্শক গৌতম রায় সূত্রাপুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
এর তিনদিন পর সূত্রাপুর থানা পুলিশ আহমেদ ওরফে হায়দার ওরফে হাদি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।
এর দুদিন পরই র্যাব আলী হায়দার এবং জাকির হোসেন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে এবং ২৬ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে গৌতম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করে।
ফলে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া হায়দার এবং এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া হায়দারকে নিয়ে ব্যাপক বিভ্রন্তি দেখা দেয়।
এদিকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা গত ২৮ এপ্রিল জাকির হোসেন ওরফে কাইল্যা জাকির ওরফে বাইট্যা জাকির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে তাকে হত্যাকাণ্ডের হোতা দাবি করলে পুরো ঘটনাই জট পাকিয়ে যায়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জাকির-হায়দার, না থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জাকির-হায়দার এই হত্যাকান্ডে জড়িত- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিভ্রান্তি অবসানে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সিআইডির প্রধান শাহ জামাল রাজকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি এখনো প্রতিবেদন দেয়নি।
গৌতম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জাকির হোসেন ওরফে কাইল্যা জাকির ওরফে বাইট্যা জাকির, জামাল মলি?ক, আহমেদ ওরফে হায়দার ওরফে হাদি ও আব্দুর রউফ ভূইয়া সোহেল এই চাজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমান্ড -নামের ,নির্জাতনে নির্দোশ ব্যক্তিরাও দোষ শিকার করতে বাধ্যে, তাহলে সাধারন নিরহ মানুষ গুলো কোথায় গিয়ে দারাবে?কার কাছে গিয়ে বিচার পাবে? শেষ পর্যন্ত মনে হয় ওনাদের কৃত্বিত্ত রক্ষার জন্য উভয় দলের কাছে আটক কৃত লোকদের সবাইকে আসামী করা হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।