আমাদের দেশের রাজধানী ঢাকা, যে শহরে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে মানুষ, বাংলাদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে মানুষ সে ঢাকার দোকানের (খুচরা দোকান) সাইন বোর্ড দেখে মনে হয় লন্ডন বা নিউ ইয়র্কে আছি। বেশিরভাগ সাইন বোর্ড ইংরেজীতে লেখা। যে ক'টায় বাংলা আছে সে গুলো যে আগে লেখা সেটা বোঝা যায়। নতুনরা সবাই ইংরেজীতে লিখেছেন। সাথে বাংলা আছে কারো কারো।
সেটা যে দায়সারা আর গুরুত্বহীন সেটা বোঝা যায়।
আমাদের ব্যাঙ্কের সাইনবোর্ড যেগুলো বেসরকারী সেগুলোতে বাংলাতো অপাংক্তেয় এমনকী সরকারী ব্যাঙ্কেও ইংরেজী অগ্রাধিকার ! বেসরকারী ব্যাঙ্কের নাম দেখুন-প্রাইম ব্যাঙ্ক, স্টান্ডার্ড ব্যাঙ্ক, প্রিমিয়ার ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক এশিয়া, সাউথ-ইস্ট ব্যাঙ্ক, মার্কেন্টাইল ব্যাঙ্ক, আইএফআইসি ব্যাঙ্ক, ইউসিবিএল, ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক, সিটি ব্যাঙ্ক (একটা দেশী আরেকটা বিদেশী), ট্রাস্ট ব্যাঙ্ক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাঙ্ক ইত্যাদি।
আরেক পদ আছে ডাবলবার্নার-আরবী+ইংরেজী। যেমন-ইসলামী ব্যাঙ্ক, আলআরাফা ইসলামী ব্যাঙ্ক, সোশাল ইসলামী ব্যাঙ্ক ইত্যাদি।
ইনারা সবাই বাংলাদেশী ব্যাঙ্ক ! এসব ব্যাঙ্কের সাইনবোর্ড আবার ইংরেজী প্রধান।
ইসলামী ব্যাঙ্কের সাইন বোর্ডে প্রথমে বাংলা, এরপর আরবী সবশেষে ইংরেজী। তেজগাঁও থানার দক্ষিণে এয়ারপোর্ট রোডে সোনালী ব্যাঙ্কের সাইন বোর্ডে দেখলাম প্রথমে ইংরেজী পরে বাংলা-এক সাইনবোর্ডে পাশাপাশি লেখা।
আমাদের দোকানের নামের আগে মেসার্স (মি. এর বহু বচন) নামক আজিব চিজ বহু আগে থেকেই আছে। নিজের নামের আগে নিজে মি.(মেসার্স) লেখা কোন ভদ্রতায় পড়ে সেটা জানি না।
মি. বেকার, কুপার্স এসব খাঁটি দেশী মালিকানার বেকারী।
পিজা হাট, ইয়াম্মী ইয়াম্মী, কেএফসি এই সব চেইন উৎপাততো সাথে আছেই।
সুপার স্টোরের নাম দেখেন-আগোরা, মীনাবাজার ! শপিং মল- ইস্টার্ন প্লাজা, রাইফেলস স্কোয়ার, রাপাপ্লাজা, মেট্রো শপিং মল ইত্যাদি।
রেস্তোরার নাম- ফোর সিজনস, জেনিয়াল, আমাজন ইত্যাদি। চাইনিজ চংমং, ভংচং এসব তো প্রাচীন উৎপাত।
ভোগ্য পণ্যের নাম দেখুন- মেরিল, স্টার শীপ, ডেনিস, ব্রিটল বিস্কুট, মি.কুকি ইত্যাদি।
কবি সাধে কি বলেছেন, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।