ক্ষমতা পেয়েই ভুলে গেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের কথা। তাইতো উঠে পড়ে লেগেছেন কি করে দুর্নীতি দমন কমিশন-কে কাগুজে বাঘে রূপান্তরিত করা যায়। মূলতঃ চরিত্রগতভাবে আপনাদের ও বি এন পি-র মধ্যে কোনই তফাৎ নেই। ক্ষমতা পেলে উভয় দলই নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করে দেয়। স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দেয় আজীবন গদী আগলে রাখার।
কোথায় ভাবা হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনকে ভারতের সি বি আই-এর আদলে তৈরী করা হবে, এখন দেখা যাচ্ছে, সে আশায় গুঁড়ে বালি। বারবার পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে সতর্ক করে দেওয়া সত্ত্বেও সরকার সে পথে হাটছে না। কিন্তু এতে করে যে নিজেদের পায়েই নিজেরা কুড়াল মারতে শুরু করে দিয়েছে, তা টের পেতে বোধ করি বেশীদিন অপেক্ষা করতে হবে না। যে সকল রাজনীতিবিদরা দেশের ভোটারদের আহাম্মক ভাবে, তাদের জন্য সামনে কিন্তু ঘোরতর দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যাদের ধরে ধরে জেলের ভাত খাইয়েছিল, তারা কি সবাই গঙ্গা জলে ধোয়া তুলসী-পাতা ? অস্বীকার করতে পারবে কি মহিউদ্দিন খান আলমগীর সে পুরোপুরি কলুষমুক্ত ? জাতির কাছে বলার দরকার নেই, নিজের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন করুন না তিনি।
সেই আলমগীর-কে স্থায়ী কমিটির সদস্য বানানো বিন্দুমাত্র বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হয় নি। ঐ আহাম্মক বলেছে যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীনতা দেওয়া হলে সেনাবাহিনী প্রধানও তা দাবী করতে পারেন। আহাম্মকগুলো কি দেখে নি স্বাধীনতা না পেয়েও ঐ সকল ভজঘট-মার্কা নেতাদের তৈরীকৃত ভুলের পথ ধরে বারবার কি করে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় এসেছে যার ফলশ্রুতিতে বি এন পি ও জাতীয় পার্টির সৃষ্টি। আবারো এ ধরণের আহাম্মকি আবার কোন্ নতুন দলের জন্ম দিতে যাচ্ছে, তা কে বা জানে। ভারতে ত সি বি আই তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু সেখানে ত সেনাবাহিনী স্বাধীনতা দাবী করে নি ? তাহলে এখানে তা হতে বাধা কোথায় ? আলমগীরদের বোধ করি তাতে অসুবিধা হয়ে যাবে।
ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আপনাদের এহেন কার্যক্রমে দাতাগোষ্ঠী অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে। আপনাদের এ ধরণের কাজ-কে জাতির সাথে বেঈমানি হিসেবেই গণ্য হবে। তাই এখনো সময় আছে আলমগীরকে ঐ কমিটি থেকে সরিয়ে দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সি বি আই-এর আদলে পুনর্গঠন করে জাতির মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হোন। নতুবা জাতি কিন্তু আপনাদেরও ছেড়ে দেবে না, একথা ভালভাবে মগজে ঠাঁই দেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।