সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...
গৃহশিক্ষক মুনসুর আলী মিঞা এখন চেয়েচিন্তে খান। ৮৫ বছরের মুনসুর আলী মিঞা এখন রাস্তায় ঘুমান। অথচ একসময় সবই ছিল তার। বাড়ি-ঘর,বিত্ত-বৈভব,সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে দিন চলতো।
স্ত্রী অনেক আগেই মারা গেছেন।
দুই মেয়ের একজন মারা গেছে বছর আটেক আগে। আর এক মেয়ে ফরিদার বিয়ে হয়েছে বরিশালে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে তার বসবাস। মুনসুর আলী মিঞার ভাই-ভাতিজা, আত্মীয়স্বজন সবাই ধনাঢ্য। বাবা মেছের মিয়া সিরাগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
কাওয়াকোলার বয়ড়া গ্রামে ছিল তার বাড়ি। গৃহশিক্ষকতা করার সময় সিরাগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া করে থেকেছেন।
বয়সের কারণে দীর্ঘদিনের সেই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে এখন তিনি রাস্তার লোক। কিন্তু শহরে বন্যা। রাস্তা-ঘর ডুবেছে।
থাকার জায়গা নেই তার। "স্বজনহারা" বৃদ্ধ মুনসুর আলী মিঞা পানিতে ডুবে মরে যাবেন- এ আশংকায় তাকে সিরাগঞ্জ শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে ত্রিবেণি গোল্ড প্যালেসের বারান্দায় বেঁধে রাখা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।