লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির
সারী নদীতে বোটে করে লালাখাল টি-গার্ডেনে পৌঁছলাম বেলা ১১টার দিকে। কান্ট্রি বোট, ইঞ্জিনচালিত, উল্টা স্রোতে প্রায় ৬৫ মিনিটের মতো লাগলো। টি-গার্ডেন রেস্ট হাউস থেকে এক কিলোমিটার আগে নদীর পূর্ব পাড়ে বিএসএফ-এর পোস্ট। হাত নেড়ে সৌজন্য প্রকাশ করলাম; বিনিময়ে বিএসএফ-এর প্রহরীরাও হাত নেড়ে অভিবাদন জানালেন। ওখান থেকে দু-দেশের সীমানা চলে গেছে নদীর মাঝ বরাবর।
আমরা আন্তর্জাতিক নিয়ম রক্ষা করে বাংলাদেশের অংশ দিয়ে বোট চালিয়ে গেলাম। তিনটা বোটে আমাদের সদস্যসংখ্যা ৪০-এর মতো। ছইয়ের ভিতর ও ছাদে দু জায়গাতেই বসেছিলাম।
একজায়গাতে নাজিমগড় রিসোর্টের লোনলি এক্সটেনশনটা দেখলাম, নদীর পূর্ব পাড়ে। সিলেট শহরে নাজিমগড় রিসোর্টটা বেশ অত্যাধুনিক, আর্টিস্টিক, কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেক এক্সপেনসিভ।
টি-গার্ডেনের ম্যানেজার আমাদের উষ্ণভাবে গ্রহণ করলেন। ছোট্ট একটি মসজিদে সদলবলে জুম্মার নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে কিছু কৌতুক, খেলাধুলা ও গান। আমি গানও গাই নি, কৌতুকও বলি নি, কবিতাও না; সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করেছি আমিই- তা হলো পারফর্মারদের 'ওয়েল ডান', 'ওয়ান্স মোর', 'এক্সিলেন্ট' ইত্যাদি বলেছি খুব উচ্চস্বরে, আর খুব জোরে হাততালি দিয়েছি
এসব শেষে লাঞ্চ। মাটন বিরিয়ানির সাথে চিকেন রোস্ট, বিফ ভুনা, চপ, ইত্যাদি।
আমি খুব খাই নি ডায়েট কন্ট্রোল করছি যে
সাড়ে চারটার দিকে আমাদের বোট এসে ভিড়লো সকালের স্টার্ট পয়েন্টে। অল্প কিছু ছবিও তুললাম, কিন্তু হায়, জ্যাক রয়ে গেছে বাসায়, দেয়া গেলো না
সিলেটের কে আছেন ভাই? আজ রাতে চলে আসুন না নাজিমগড় রিসোর্টে ওখানে একটা পার্টিতে এ্যাটেন্ট করার ইনভাইটেশন পেলাম যে আসুন না, এক ছিলিম ব্লগালাপ করা যাবে
যেখান থেকে শুরু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।