রোববার সকালে মুম্বাইয়ের এক শহরতলী থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় এনডিটিভি।
ওই পাঁচজনের দলের মধ্যে কাসিম বাঙ্গালি সবচেয়ে সহিংস ছিল এবং নির্যাতিতাকে দুবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে কাসিমই বয়সে সবার বড়।
কাসিমকে ‘বিকৃত মানসিকতার’ বলে বর্ণনা করেছে ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের নামা পারেল এলাকার এক পরিত্যাক্ত কাপড়ের মিলে ২২ বছর বয়সী ওই ফটোসাংবাদিককে ধর্ষণ করে পাঁচ পাষণ্ড।

এ সময় সাংবাদিকের সঙ্গে থাকা ছেলে বন্ধুকে বেঁধে রাখে পাষণ্ডরা। তাকে মারধরও করা হয়।
এ ঘটনায় সারা ভারতজুড়ে তীব্র ক্ষোভে ছড়িয়ে পড়ে। গত ডিসেম্বরে প্রায় একই ধরনের ঘটনায় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে ধর্ষিত হয়েছিল একই বয়সী এক মেডিকেল ছাত্রী। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী পরে হাসপাতালে মারা যায়।


তখনও ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। ক্ষোভের মুখে‘ নারী নির্যাতন’ আইন সংস্কার করে সর্বোচ্চ সাজার বিধান যুক্ত করা হয়েছিল। তারপরও ভারতজেুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলছে।
বৃহস্পাতিবারের ঘটনার আগ পর্যন্ত মুম্বাইকে নারীদের জন্য ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর বলে বিবেচনা করা হতো।
এদিনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ অভিযুক্তের চারজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালেই পাঁচ অভিযুক্তের আঁকা ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করে পুলিশ। নির্যাতিতা নারী ও তার নির্যাতিত বন্ধুর বর্ণণা অনুযায়ী অভিযুক্তদের ছবি আঁকা হয়।
এর আগে চান্দ শেখ, বিজয় যাদব ও সিরাজ রেহমান নামের অপর তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। সালাম কুরেশি নামের অপর একজন এখনো পালিয়ে আছেন।
।