স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই।
দিল্লীর ঘটনার পর এখন মুম্বাই তে মহিলা সাংবাদিক কে ৫ জন পূর্ণ বয়স্ক লোকের পাশবিক অত্যাচার। মানুষের পশুত্ব দিন দিন কে আরো বাড়তেই থাকবে?? ব্যাপার হল ভারতে খারাপ কিছু যা ঘটে আমাদের দেশেও খুব তাড়াতাড়ি সেটা ঘটে যায়। যেমনঃ দিল্লীর সেই ঘটনার পরে আমাদের মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এখন মুম্বাই এর এই ঘটনার পরে আমাদের দেশে যে কি ঘটবে??? শুধু গার্মেন্টস শ্রমিক ছাড়াও আমাদের দেশে অনেক বিশেষ করে ঢাকাতে অনেক কর্মজীবী মহিলা আছেন।
তাদের জীবিকার প্রয়োজনেই একা একা চলাফেরা করতে হয়। এমনিতেই তাদের অনেক উটকো ঝামেলা সহ্য করে পথ চলতে হয়, তারপরে আছে ছিনতাই আতংক এখন যদি সাথে এই ধরনের ভীতি যোগ হয় তাহলে মনে হয় stress নিয়ে চলতে চলতে তাদের পাগল হতে খুব বেশিদিন লাগবেনা।
সরকার যেমন পাড়ায় পাড়ায় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র খোলে সেরকম আমার মতে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র খুলতে হবে। তারা এই ধরনের মানসিক রোগী যারা সমাজে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে সুস্থ করে তুলবে বা চেষ্টা করবে। প্রতিটা দেশের সরকারের উচিত জিন গবেষকদের কে গবেষণার জন্য হুকুম দেয়া যে কোন জিন এর দরুন মানুষের মধ্যে এই পাশবিক মানসিকতা কাজ করে, সেটা আবিষ্কার করে সেই জিন কে ঠিক করা নষ্ট করার ব্যবস্থা নেয়া।
জন্মের পর থেকে যেমন আমরা ৬ টি কঠিন রোগ থেকে বাচার জন্য টিকা নেই ঠিক সেরকম একটি টিকা বের করতে হবে যা জন্মের পর পরই দিয়ে দিতে হবে যাতে করে সে বড় হয়ে যেন পাশবিক কাজ কে ঘৃণা করতে পারে। তা নাহলে, এইসব থেকে মুক্তি আমরা মনে হয় পাবনা। কারন, বিচার চাওয়া টাই তো এক ধরণের পাগলের প্রলাপ লাগে আমার কাছে।
শালার মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে কি করছি আর কি দেখছি এসব ???? নিজের প্রতি নিজেরই লজ্জা লাগে। কি আর করার ধিকঃ জানাই শুধু নিজেকেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।